কাতারের দোহা বিমানবন্দরে নবজাতক কন্যাকে ফেলে পালিয়ে যাওয়া এক নারীকে চিহ্নিত করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে ওই নারী তার নবজাতক কন্যাকে দোহা এয়ারপোর্টের একটি ডাস্টবিন বক্সে ফেলে পালিয়ে যান।
কাতার কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই নারী একটি এশিয়ান দেশের নাগরিক।
তারা আরো বলেছে যে, ওই নারীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে সোপর্দ করার জন্য কার্যক্রম চলছে। ওই নারীর দেশ বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
তারা আরো বলেছে, একটি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ওই সন্তানের বাবা-মাকে চিহ্নিত করা হয়।
কিন্তু এই ঘটনার শুরুর দিকে এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকা অন্য নারীদের আগ্রাসীভাবে যাচাই করার জন্য এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ তোপের মুখে পড়েছে।
এয়ারপোর্টের ডাস্টবিনে নবজাতককে পাওয়ার পর পরই কর্তৃপক্ষ এয়ারপোর্টে থাকা সব নারীকে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। কাছাকাছি থাকা বিমান থেকে নারী যাত্রীদের নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে পরীক্ষা করা হয় যে কেউ সাম্প্রতিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন কি না।
কাতার থেকে সিডনির উদ্দেশ্যে যাত্রার অপেক্ষায় থাকা একটি বিমানে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন নারী ছিলেন; তাদেরকেও তাদের অসম্মতিতে নগ্ন করে পরীক্ষা করা হয়। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পর্যন্ত নিন্দা প্রকাশ করেন।
কাতার সরকার বলেছে, হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত দুই অক্টোবর একটি নবজাতককে অনিরাপদ অবস্থায় পাওয়া যায়।
ওই পরিস্থিতি নবজাতকের মাকে খুঁজতে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, যা অনুচিত ছিলো।