কাদের মাস্ক ব্যবহার জরুরি

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন দেশে মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। আবার অনেক দেশে এই মাস্কের ব্যবহার কম।

এখন প্রশ্ন উঠছে—এই মাস্ক কি করোনার বিস্তার ঠেকাতে পারে? কিংবা এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক কতটা কার্যকর?

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্যরা।

বায়ুবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক কতটা কার্যকর, সে ব্যাপারে যথেষ্টই সংশয়ে আছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। তবে হাত থেকে মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ার কিছু নজির আছে বলে তারা মনে করেন।

বর্তমানে ডব্লিউএইচওর পরামর্শ হলো সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মানুষের মধ্যে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে থাকতে হবে। যারা অসুস্থ এবং যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাদের মাস্ক পরতে হবে। যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করছেন তাদের পরতে হবে। এর বাইরে কারো জন্য মাস্ক পরার খুব বেশি প্রয়োজন নেই।

গতকাল বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, অতীতে যেমনটা ভাবা হয়েছিল সেটা ঠিক কি না, সে বিষয়টি মূল্যায়ন করবে ডব্লিউএইচওর এই উপদেষ্টা প্যানেল। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, মানুষের কাশি ছয় মিটার এবং হাঁচি আট মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে।

এই প্যানেলের প্রধান প্রফেসর ডেভিড হেইমান বিবিসিকে বলেন, এই নতুন গবেষণার ফলে মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারে অতীতের পরামর্শে পরিবর্তন আসতে পারে।

ডব্লিউএইচওর সাবেক পরিচালক ব্যাখ্যা করে বলেন, সবাইকে মাস্ক পরতে বলা উচিত কি না, সে বিষয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মানে কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্বের কথা বলছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেবে কি না সেটা নিয়ে বিতর্ক চলছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের একটি অভ্যন্তরীণ মেমোতে বলা হয়েছে সামান্য কাপড়ের মাস্কও ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে।

ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, লোকজন স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.