কারফিউ ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে বিক্ষোভ

গত সপ্তাহে পুলিশের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে একজন কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কারফিউ জারি করা হলেও তা উপেক্ষা করে জনগণ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক ও টেক্সাসের ফোর্ট ওর্থসহ বহু জায়গায় কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। এ ঘটনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস পুলিশের প্রধান ডেভিড ডর্নকে গুলি করে হত্যা করে দুবৃত্তরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, লুটপাটকারীরা ডর্নকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সেইন্ট লুইসের লুটকৃত একটি দোকানের সামনে ডর্নের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে বিক্ষোভের ফলে দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর, শহরের মেয়র এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তারা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

কোনো কোনো রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না এবং মাস্কও পরছেন না। আবার অনেকে মাস্ক পরলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। উপসর্গ নেই এমন বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকেই ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে এক লাখ আট হাজার ৫৯ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ২০৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ছয় লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৪ জন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.