দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ২২ জনের, নতুন শনাক্ত ১৫৪১ জন

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৪১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪৪ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন।

আজ বুধবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ২০ জন পুরুষ এবং দুইজন নারী। এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪৪ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন এবং সিলেট বিভাগের দুইজন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা সিটিতে পাঁচজন, ঢাকা সিটির বাইরে একই জেলায় তিনজন। ঢাকা বিভাগের অন্য জেলা মুন্সিগঞ্জে একজন এবং নরসিংদীতে একজন। চট্টগ্রাম জেলায় দুইজন, বিভাগের অন্য জেলা নোয়াখালীতে তিনজন, কুমিল্লায় দুইজন, কক্সবাজারে একজন, চাঁদপুরে দুইজন, সিলেটে একজন এবং সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারে একজন। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন এবং বাসায় মারা গেছেন একজন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৯২৫ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সাত হাজার ৮৪৩টি। পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে আট হাজার ১৫টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে এক হাজার ৫৪১ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ২৮১ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৯৯৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৮০ জন।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে মোট আইসোলেশন সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০০টি ও ময়মনসিংহ নার্সিং ডরমিটরিতে আরো ২০০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুতির কাজ চলছে। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৪টিতে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৭৮৯ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮২ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ ৭১ হাজার ১০৪ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ১৪ হাজার ৪০৮ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৬ হাজার ৬৯৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য বেড়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে বর্তমানে সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ২৬৯টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৮০ লাখ ২৭৮ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ১৪ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ১৮৭ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.