পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা

পাকিস্তানের উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা।

দ্য ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান কিষাণ ইত্তেহাদের (পাকিস্তান ফারমার্স ইউনিটি) কৃষক নেতারা একটি বৈঠক করেন। মূলত সেখানেই তারা মার্চে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা নেন।

পাকিস্তানি কৃষকরা ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (এমএসপি) প্রতি মণ গম দুই হাজার পাকিস্তানি রুপি ও প্রতি মণ আখ তিনশ’ রুপিতে নির্ধারণ এবং কৃষি নলকূপের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পাঁচ রুপি করাসহ বেশকিছু দাবিতে মিছিল করতে যাচ্ছেন।

গত এক বছর কঠিন সময় পার করেছেন পাকিস্তানি কৃষকরা। গম এবং আখের নজিরবিহীন সংকট দেখা দেওয়ায় কৃষকের দুর্দশার দিকে নজর না দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরীক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার বিরোধী দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)-এর সমালোচনার শিকার হয়েছে।

দ্য ডিপ্লোম্যাটকে পাকিস্তান কিষাণ ইত্তেহাদের সভাপতি জুলফিকার আওয়ান বলেছেন, বীজ নিয়ন্ত্রণ মূল্য সাড়ে সাত হাজার রুপি থেকে বেড়ে ১৪ হাজার রুপি হয়েছে। গমের ন্যূনতম সহায়তা মূল্য এক হাজার চারশ রুপি ছিল, যা আমরা কখনও পাইনি।

তার মতে, সারের দাম ছিল আড়াই হাজার রুপি, যা এখন সাড়ে চার হাজার রুপি। এক হাজার তিনশ টাকার ইউরিয়া এখন এক হাজার আটশ রুপি। ইনপুট-আউটপুটের পার্থক্য এত বেশি যে অন্য দেশের উৎপাদিত পণ্যের সঙ্গে পাকিস্তানি কৃষকদের পণ্যের কোনো প্রতিযোগিতা হতে পারে না।

পাকিস্তান সরকারের কৃষিনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ২ নভেম্বর লাহোরে ক্যাম্প করেন কৃষকরা। পরে গত ৫ নভেম্বর বিক্ষোভে পুলিশের দমন পীড়নে একজন কৃষক নিহত হন।

আওয়ান বলেছিলেন, বিক্ষোভ করতে গেলেই, আমাদের হত্যা করা হয়। নভেম্বরে আমাদের একজন কৃষক শহীদ হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এ কারণে তড়িঘড়ি করে লাহোরের বিক্ষোভ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা।

গত ২৯ মাসে পাকিস্তানে খাদ্য পণ্যের দাম গড়ে ৩১ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম হওয়ায়, দেশটিকে খাবার তেল, গম, চিনি, চা এবং ডালসহ অনেক প্রধান খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে। এতে পাকিস্তানের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.