বাংলাদেশি যাত্রীদের করোনা, ইইউর বাইরের নাগরিকদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ইতালি!

বাংলাদেশি বিমান যাত্রীদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের ইউরোপ ভ্রমণে আরও কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ইতালি।
করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা সামলে ওঠা ইতালিতে যাওয়া দুই ডজনের বেশি বাংলাদেশির শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছে রোম।

এর আগে সোমবার রোমে যাওয়া একটি বিমানের ফ্লাইটে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।
পরে বাংলাদেশের সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ইতালি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস ও জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্প্যানের
কাছে লেখা এক চিঠিতে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা বলেছেন, আমি শেনজেন এবং ইউরোপীয়
অঞ্চলের বাইরে থেকে ইউরোপে আগতদের জন্য নতুন কঠোর সতর্কতামূলক যথাযথ ব্যবস্থা বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে, বুধবার ইতালির রাজধানী রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমান থেকে ১২৫ বাংলাদেশিকে নামতে দেয়া হয়নি।
এই বাংলাদেশিদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি দোহা থেকে ইতালির ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

তবে কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানটি ঢাকা থেকে রোমে আসেনি। যে কারণে বাঙালি যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে দেয়া উচিত।
কাতার এয়ারওয়েজ ইতালির সরকার এবং ইন্যাকের বিমান পরিবহন সংক্রান্ত সব ধরনের বিধি-বিধান সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করছে।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাতার এয়ারওয়েজের ওই বিমানের ১২৫ বাংলাদেশি আরোহী ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমনকি বিমানবন্দরে বিমানের ভেতর থেকেও তারা নামতে পারবেন না। তবে জরুরি মেডিকেল সেবার দরকার হলে বিমান থেকে নামার অনুমতি পাবেন তারা।

কাতার এয়ারওয়েজের একই ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীদের দোহায় ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।
তবে বিমানটিতে থাকা অন্যান্য দেশের ৮০ যাত্রীর নামার অনুমতি মিলেছে।
বিমানবন্দরে তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষা শেষে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.