মংলায় বিএনপি সমর্থিত মেয়রসহ ১৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

বন্দর নগরী মংলাপোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট শুরুর দুই ঘণ্টার মাথায় ভোট বর্জন করেছেন। মেয়র প্রার্থী একজন, নয়টি ওয়ার্ডে নয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী, তিনটি সংরক্ষিত আসনের তিন জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জনের কথা জানান। এ সময় বিএনপি সমর্থিত সব কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ভোট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা। তারা ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দেখাতে বাধ্য করে। সাধারণ ভোটারদের বাধা প্রদান করে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে।

এ সময় তিনি দাবি করেন, প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও তা পাননি তিনি। ভোটের আগের রাতে তার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে দুর্বত্তরা হামলা চালিয়েছে ও মারধর করেছে বলে দাবি করেন তিনি। গত রাতে তার ২৭ জন কর্মী-সমর্থকসহ অর্ধশত লোকজনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেন ও আলাউদ্দিন বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি ভালো থাকলেও তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। জোর করে তাদের ভোট নেয়া হচ্ছে। অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম বলেন, র‌্যাব-পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী এমরান হোসেন বলেন, ভোটের অনিয়ম তুলে ধরায় প্রেসক্লাব সভাপতিসহ অনেক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

হামলা ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে বারবার ফোন করা হলেও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরাজি বেনাজির আহমেদ এবং মংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী কল রিসিভ করেননি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.