সৌদি আরব বেসরকারি হজযাত্রীর ১২ হাজার ১১০টি কোটা কমিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি হজযাত্রীর কোটা বাড়িয়েছে ৫ হাজারটি।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় হজ ও ওমরা নীতি-২০১৬ এবং হজ প্যাকেজ-২০১৬ সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শফিউল আলম আরও জানান, এবার সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিলো মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন হজযাত্রীর। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ৫ হাজার এবং বেসরকারি পর্যায়ে হজযাত্রী ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ জন যাওয়ার কথা ছিলো।
কিন্তু সৌদি আরব মোট হজযাত্রী সংখ্যা ১২ হাজার ১১০ জন কমিয়ে করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। সরকারি পর্যায়ে হজযাত্রীর কোটা ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার জন। আর বেসরকারি পর্যায়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ জনের কোটা কমিয়ে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুসারে সৌদি আরব চলতি বছর থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা সরকারি পর্যায়ে বাড়িয়েছে আর বেসরকারিভাবে কমিয়েছে।
সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী, এখন থেকে হজ এজেন্সিগুলোর কমপক্ষে ১৫০ হজযাত্রী থাকতে হবে। তাছাড়া তারা হজযাত্রী নেওয়ার সুযোগ পাবে না। আগে প্রতি ৫০ জন হজযাত্রী হলেই এজেন্সি হজ কার্যক্রম চালাতে পারতো। কিন্তু এখন কমপক্ষে ১৫০জন হজযাত্রী হতে হবে।
শফিউল আলম আরো বলেন, অনুমোদিত নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এখন থেকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোরবানী দিতে পারবে না। এর জন্য নির্ধারিত ব্যাংকে এ টাকা জমা দিয়ে নির্দিষ্ট টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। কোরবানির দায়িত্ব নেবে সৌদি সরকার। তাদের তত্ত্বাবধায়নে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে কোরবানী দিতে হবে।
প্রতিটি বিমানে সর্বোচ্চ তিনজন মুয়াল্লিম হজে যেতে পারবেন, জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।