গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলের সিম নিবন্ধনকে বৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। গত রোববার চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে ১৪ মার্চ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ ছয়টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এসএম এনামুল হক নামের এক আইনজীবী গত ৯ মার্চ হাই কোর্টে এ রিট আবেদন করেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অনিক আর হক। রবির পক্ষে ছিলেন ফাতেমা আনোয়ার। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও জেসমিন সুলতানা। গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে, যা এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে শুরু হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া।