এভিয়েশন নিউজ: ডিসেম্বরে বন্ধ থাকা অভ্যন্তরীণ সব রুটের ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এজন্য শিগগিরই দুটি টার্বো-প্রপ উড়োজাহাজ সংগ্রহ করতে যাচ্ছে এয়ারলাইনসটি। যদিও এর আগে কয়েক দফা দরপত্র আহ্বান করেও উড়োজাহাজ ইজারা নিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ প্রসঙ্গে বলেন, দুটি টার্বো-প্রপ উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। উড়োজাহাজ দুটি সংগ্রহ হলে ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ রুটের উপযোগী জ্বালানিসাশ্রয়ী দুটি উড়োজাহাজ সংগ্রহে এর আগে সাতবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সর্বশেষ আহ্বান করা দরপত্রে ৪৫ থেকে ৮০ আসনের দুটি টার্বো-প্রপ উড়োজাহাজ পাঁচ বছর মেয়াদে ড্রাই লিজ অথবা লিজ-পারচেজে নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
উড়োজাহাজ দুটি দিয়ে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে ফ্লাইট শুরুর কথাও দরপত্রে উল্লেখ ছিল। শর্ত ছিল, উড়োজাহাজ দুটির বয়স ১০ বছরের নিচে হতে হবে। এর নকশা, ইঞ্জিন ও প্রপেলার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) অথবা ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি (ইএএসএ) সার্টিফায়েড হতে হবে।
জানা যায়, গত বছরের মার্চে বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, রাজশাহী ও সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। এজন্য পরিচালনা পর্ষদ ছোট আকৃতির দুটি নতুন উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্তও নেয়। পরবর্তী সময়ে অর্থসংকটের কারণে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কম জ্বালানি খরচের ৫০ আসনের দুটি টার্বো-প্রপভিত্তিক উড়োজাহাজ পাঁচ বছর মেয়াদে ইজারা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
উড়োজাহাজ সংকট ও ক্রমাগত লোকসানের কারণে ২০০৭ সালের বিভিন্ন সময়ে অভ্যন্তরীণ সাত রুটের চারটি বন্ধ করে দেয় বিমান। এর আগে ঢাকা-যশোর রুটে সপ্তাহে পাঁচটি, ঢাকা-বরিশাল রুটে দুটি ও ঢাকা-রাজশাহী-সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট চালু ছিল। ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক রুটের সংযোগ ফ্লাইট হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।