ফেসবুকের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে এক সুতোয় বেঁধেছেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের হাসি, কান্না, রাগ, অভিমান সবই জানা যায় ফেসবুকে। আর এবার বিশ্বের বাইরেও প্রাণ খুঁজতে উদ্যোগী হলেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নক্ষত্রের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য ক্ষুদ্র ও হালকা মহাকাশযান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও হালকা মহাকাশযান তৈরির এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে ফেসবুকও।
নাসার এই প্রকল্পে কাজ করছেন বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। পৃথিবীর কাছের নক্ষত্র ‘আলফা সেন্টরি’-এ অনুসন্ধান চালানোর জন্য ব্রেকথ্রো স্টারশট নামক প্রকল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্ত হয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ, ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং ও রুশ ধনকুবের ইউরি মিলনের।
মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে জানান, ‘পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র আলফা সেন্টরি ২৫ ট্রিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থিত। বর্তমানের সবচেয়ে দ্রুত যে মহাকাশযান রয়েছে, সেটি সেখানে পৌঁছাতে ৩০ হাজার বছর লেগে যাবে। যা অনেক সময় সাপেক্ষ। এজন্য সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের গবেষণায় নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
‘আলফা সেন্টাউরি-এ গবেষণায় বড় মহাকাশযানের পরিবর্তে অত্যন্ত দ্রুতগামী ক্ষুদ্রাকার ও হালকা মহাকাশযান তৈরি করা হবে। একটি রকেটের মাধ্যমে তা আকাশে ছুড়ে দেওয়া হবে। তারপর পৃথিবী থেকে শক্তিশালী আলোকরশ্মি পাঠিয়ে এর বেগ ঘণ্টায় ১০ কোটি মাইলে রূপান্তর করা হবে।’
‘এই গতি আলোর চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি। ফলে বর্তমানে যেসব যান আছে তা দিয়ে এই পথ পাড়ি দিতে যেখানে সময় লাগবে ৩০ হাজার বছর, সেখানে এবার ২০ বছরে পৌঁছে যাওয়া যাবে নতুন প্রকল্পের মহাকাশযানে।’
সৌরজগতের বাইরে অন্য কোনো নক্ষত্রে এই অভিযান সফল করা সম্ভব হলে তা প্রকৃত অর্থেই মানুষের জন্য হবে আন্তঃনাক্ষত্রিক সভ্যতায় প্রবেশ। আলফা সেন্টারি নক্ষত্রপুঞ্জটিতে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা কিংবা মানুষের বসবাস করা সম্ভব হবে কিনা, সেটা জানার জন্য প্রয়োজন নক্ষত্রটির ক্লোজ ছবি ও তথ্যে, যা এই প্রকল্পের ফলে মাত্র ২০ বছর পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।