যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং, ফাইন্যান্স এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’ এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং ব্যাংকিং খাতের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পাঁচটি সেশনে একাডেমিক আলোচনা এবং এই খাতের সাফল্য ও অগ্রগতি, বিদ্যমান সমস্যা সমাধান ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডেপুটি ডিরেক্টর এলবার্ট শেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং ফারমারস ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর, হার্ভার্ড ল’ স্কুলের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, পাবলিক ইন্টারেস্ট এডভাইজার জিনি গ্রাইম্যান, এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ব্যবসা সম্পর্কিত অধ্যাপক ড. নিয়েন হি শি।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটের বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং মতামত প্রদান করেন।
Bangladesh
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং ব্যাংকিং সেক্টরের চলমান অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের উন্নয়নে এর প্রভাব, বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং শিল্পের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান এবং এই খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক আলোচনা হয় ।
সম্মেলনে সাইবার ক্রাইম প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, উন্নত বিশ্বে সাইবার অপরাধ ও চুরি নিয়মিত ঘটলেও বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো এখন সাইবার অপরাধীদের নিশানায় পরিণত হচ্ছে এবং এই ঝঁকি প্রতিরোধে ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ আইটি নিরাপত্তা কর্মী এবং দক্ষ ম্যানেজমেন্ট টিম গড়ে তোলা দরকার।
নিয়মিত সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং সরকারি সহায়তায় সাইবার অপরাধ ও চুরির মত ঘটনা প্রতিরোধ সম্ভব এবং ডিজিটাল লেন-দেন ও ই- কমার্সের পরিধি বাড়ানো যায় বলেও মত দেন তারা।
সম্মেলনের সমন্বয়কারী ‘ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইকবাল ইউসুফ জানান, ‘বিষয়ভিত্তিক সেমিনারসমূহে মূলত বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের বিষয়াবলী প্রাধান্য পায়’।
তিনি আরো জানান, থিঙ্ক ট্যাঙ্কের উদ্যোগে ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই দক্ষিণ এশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র তথা উন্নত বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন পরিক্রমা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়ে আসছে।