বন্ধ ঘোষণা করার চার বছর পরেও জিএমজি এয়ারলাইন্স দাপট দেখাচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। নিজেদের জন্য বরাদ্দ অংশটি কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত না দিয়ে উল্টো অবৈধভাবে ভাড়ায় খাটাচ্ছে।
এছাড়া বিদেশে যেসব বিমানবন্দরে প্লট নেওয়া ছিলো সেগুলো আটকে রেখেছে জিএমজি এয়ারলাইন্স। ফলে নতুন সচল এয়ারলাইন্সগুলো প্লট পাচ্ছে না।
অনেকটা দাপট দেখিয়েই জিএমজি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এসব করছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। তারা জানিয়েছেন, বিশেষ অনুমতি নিয়ে জিএমজির কিছু গাড়িও বিনাকাজে, যখন তখন বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করছে।
অথচ ২০১২ সালের ৩০ মার্চ (শুক্রবার) জিএমজি এয়ারলাইন্সের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শেয়ারবাজারে ৩০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি ছড়িয়ে পড়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে। অনেকটা আকস্মিকভাবে দুই মাসের বেতন-ভাতা না দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয় জিএমজি এয়ারলাইন্স।
তখন অবশ্য বলা হচ্ছিলো, জিএমজির কার্যক্রম একেবারে গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে না। উড়োজাহাজের কারিগরি পর্যবেক্ষণের জন্য অনির্দিষ্টকাল সকল ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রাখা হচ্ছে। উড়োজাহাজগুলো উড্ডয়নের উপযোগী হলেই ফের চালু হবে। এরপর চার বছর পার হয়ে গেছে। আর এই এয়ারলাইন্সটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা এখন নেই বলেই মনে করছেন বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা।
একসময় জিএমজি ঢাকা থেকে কলকাতা, জেদ্দা, দুবাই, ব্যাংকক, মালয়েশিয়া ও রিয়াদ মিলে মোট ছয়টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করত। এর মধ্যে কলকাতা ছাড়া বাকি পাঁচটি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা অবশ্য বন্ধ হয়ে যায় টোটাল শাটডাউনেরও একবছর আগে ২০১১ সালে। আরও পরে অভ্যন্তরীণ রুটের অনেক ফ্লাইটও বন্ধ করে দেয়া হয়। আর সবশেষ জিএমজি শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম-কলকাতা এবং ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। তাও বন্ধ হয়ে যায় ২০১২ সালের মার্চ মাসে।
১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল জিএমজি যাত্রা শুরু করে জিএমজি এয়ারলাইন্স।
সূত্রঃবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম