করোনাভাইরাসের ভয়াল ছোবলে আজ গৃহে প্রবেশের অধিকার হারা গৃহশিক্ষকরা। বন্ধ হয়েছে উপার্জনের পথও।
ব্যয়বহুল নগরে টিকতে না পেরে বেশিরভাগ তরুণকেই ফিরতে হচ্ছে গ্রামে।
সময় গড়িয়েছে তিন মাস। বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের সময়ে নবীনের শিক্ষা অনুশীলনে সাহায্যের জন্য নেই গৃহশিক্ষক।
সুষ্মিতা চক্রবর্তী মিশু এমনই একজন গৃহশিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি দুই বাসায় পড়ান ছাত্র।
এর বিনিময়ে পাওয়া অর্থে বেশ চলে তার শিক্ষাসহ আনুষঙ্গিক খরচ।
সুষ্মিতা চক্রবর্তী মিশু জানান, টিউশনি করে আমি যেমন আমার নিজেকে চালানোর চেষ্টা করতাম তেমনি পরিবারকে সাপোর্ট দিতাম।
নিজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছিলো। কবে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি।
শহুরে জীবনে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন খরচ মেটান অনেক তরুণ এই টিউশনির টাকায়।
শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মক্ষেত্রের অপেক্ষায় থাকা অনেক তরুণের পরিবারে কিছুটা স্বস্তিও এনে দেয় এই উপার্জন।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, টিউশনি বন্ধ থাকায় ঢাকাতে থাকা, খাওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে বাড়িতে চলে এসেছি।