প্রযোজক বললেন, ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে রাজি কি নাঃ দেবলীনা দত্ত

ভারতীয় চলচ্চিত্র জগত তো বটেই এর বাইরেও নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘নেপোটিজম’ শব্দটি।
কথা বলছেন অনেকেই।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিষয়টি উঠে এসেছে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও টেলিভিশনের পরিচিত মুখ দেবলীনা দত্তের এক লেখায়।

অভিনয়ের শুরুর দিকে কীভাবে তিনি একজন প্রযোজকের মাধ্যমে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন শনিবার
দেবনীলা সে প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায়।

তিনি লিখেছেন, বাধ্য হলাম কলম ধরতে। ইন্ডাস্ট্রিতে ২২ বছরের অভিজ্ঞতা।
আজও মুখ বন্ধ করে থাকলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে।

’ইদানি শুনতে পাচ্ছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি ‘ফেভারিটিজম’ আছে, ‘নেপোটিজম’ বা স্বজনপোষণ নেই।
এটা মিথ্যে কথা! ডাহা মিথ্যে বলছে লোকজন। শুধু স্বজনপোষণ নয়, এই ইন্ডাস্ট্রিতে মাফিয়ার আধিপত্য কিছু কম দেখলাম না।’

দেবলীনা লিখেছেন, আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে একটু ফিরে যাই। আজ থেকে ২২ বছর আগে আমার দ্বিতীয় ধারাবাহিককে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
আমাকে বলা হল, প্রযোজক দেখা করতে চেয়েছেন। তখন মা আমার সঙ্গে যেত, মা স্ক্রিপ্ট লিখত।
কিছু ক্ষণ প্রযোজকের অফিসে অপেক্ষার পরে উনি বলে পাঠালেন, আমার সঙ্গে উনি একা কথা বলবেন।

তিনি লিখেছেন, গেলাম। ওমা! গিয়ে দেখি ওর টেবিলে ঠিক ওর মুখের সামনে একটা সিসিটিভি রাখা!
আজ থেকে ২২ বছর আগে! আমি বুঝলাম, যত ক্ষণ আমরা বসেছিলাম সিসিটিভি দিয়ে উনি আমাকে আর মাকে দেখছিলেন।
যাই হোক, এখনকার পরিচালক বা প্রযোজকদের মতো কোনও রাখঢাক না করেই উনি আমায় জিজ্ঞেস করলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এসেছি আমি,
‘কম্প্রোমাইজ’ করতে রাজি কি না! চমকাতে দেখি, উনি আমাকে আরও সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন,
প্রযোজকের সঙ্গে অভিনেত্রীর বোঝাপড়া, সখ্য না থাকলে ভাল কাজ হয় না। প্রযোজককেও আলাদা সময় দিতে হবে, তবেই পারস্পরিক সমঝোতা তৈরি হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.