জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৬-এর চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহন করছে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ১২’শর অধিক শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ৯৬৮ জন কুইজে এবং ৩১৩ জন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত।
রোববার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এসব শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দীতা করবে জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে দ্বিতীয়বার আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) আইসিটি ডিভিশনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জয় করার প্রযুক্তি তো বাংলাদেশ থেকে তৈরি হবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে আমরা হাইস্কুল পর্যায়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীর মাধ্যমে সাফল্য পাওয়া শুরু করছি। আগামী দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই সাফ্যলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
সারা দেশে স্কুল পর্যায় আইসিটি ক্লাব তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান।
বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে রচিত হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাকাব্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। ২০২১ সাল নাগাদ তোমরা যখন এই দেশের যুব সমাজের নেতৃত্বে থাকবে তখন বিশ্বজুড়ে আরও বিকশিত হবে তথ্যপ্রযুক্তি।
আর তাইতো আমরা চাই নতুন প্রজন্মের প্রত্যেকেই হয়ে উঠুক ডিজিটাল বাংলাদেশের এক একজন ডিজিটাল সৈনিক।
বাংলাদেশ ওপেন র্সোস নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন। তিনি জানান, সকাল ৮টায় জুনাইদ আহমেদ পলক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করবেন। এসময় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মাদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মোহম্মদ কায়কোবাদ থাকবেন। এদিন দুপুর ২টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের আয়োজন।
আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবির, আন্তজার্তিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিচারক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানসহ অনেকে এতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশের ১৬টি অঞ্চলে ১৮ হাজারের বেশী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব। একইসাথে ৬৪টি জেলায় ৭০০ হাইস্কুলের ২ লাখের বেশী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারণামূলক অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কর্মসূচিতে এছাড়াও ছিল মেন্টরস ট্রেনিং, অনলাইন মেন্টরশীপ ও ফোরাম পরিচালনা।
আইসিটি ডিভিশনের এ আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাস্তবায়ন সহযোগিতায় বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, একাডেমিক সহযোগিতায় কোডমার্শাল এবং পার্টনার হিসেবে আছে-কিশোর আলো, এটিএন নিউজ, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।