রাজধানী ঢাকার পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরে ভর্তি না করাতে পেরে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ গেল পাবনার মতিন মোল্লার।
নিহতের ছেলে জানান, করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট না থাকায় কোনও হাসপাতালেই তার বাবাকে ভর্তি নেয়া হয়নি।
রাজধানীতে আরও অনেককেই রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটতে দেখা গেছে।
টাইফয়েড এর লক্ষণ আর শ্বাস কষ্ট নিয়ে ৬৮ বছরের বৃদ্ধ মতিন মোল্লার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত আড়াইটায় পাবনা থেকে ঢাকায় রওনা দেন স্বজনরা।
ভোর রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি মিলে অন্তত ৫টি হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন স্বজনরা।
তবে নানা অযুহাতে কোথাও তাকে ভর্তী নেয়া হয়নি। দেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও।
রোববার দুপুরে মতিন মোল্লার নিথর দেহ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বজনরা।
শুধু মতিন মোল্লা নন অমানবিক ভোগান্তির স্বীকার আরও অনেকেই। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ টাকা ছাড়া সেবা মিলছে না অনেক সরকারি হাসপাতালেও। বিনামূল্যে রোগীকে বেড দেয়ার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া মেলে না কোনও সেবা।
সাথে রয়েছে ট্রলি ও হুইল চেয়ার বাহিনীর দৌরাত্ম্যও।