নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল শনিবার বিকেলে প্রাইভেট শিক্ষক
জুলফিকার আলী সরকারকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে তার বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
পরে শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক জুলফিকার আলী সরকারকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার জুলফিকার উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের খাকশা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত জুলফিকার আলী তার গ্রামের বাড়িতে পাঁচ বছর ধরে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন।
সেখানে তিনি বিভিন্ন শিফটে বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণি থেকে তার কাছে প্রাইভেট পড়তেন।
ওই ছাত্রী যখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন, তখন কোনো একদিন জুলফিকার ওই ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।
আর সেই ঘটনার ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে ওই ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন জুলফিকার আলী।
সম্প্রতি সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে জুলফিকারকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।