হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে যত ঝুঁকি
হাতের জীবাণু ধ্বংস করতে যে তরল ব্যবহার করা হয় সেটাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বলে।
করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট সংক্রমণ কোভিড-১৯ এই প্রোডাক্টের ব্যবহার অবিশ্বাস্য হারে বাড়িয়ে দিয়েছে।
অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার করোনাভাইরাস ধ্বংস করে বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়েছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা অপ্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারকে অনুৎসাহিত করেছেন,
বিশেষ করে যেখানে সাবান-পানির ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে প্রোডাক্টটি ব্যবহারের প্রয়োজনই নেই।
মূলত সাবান-পানির অনুপস্থিতিতে হাতকে জীবাণুমুক্ত করার তাগিদেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা হয়েছে।
এই তরল ভালোর জন্য ব্যবহার করা হলেও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে অথবা ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তাই হাতের জীবাণু ধ্বংসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অতি ব্যবহার এড়াতে যথাসম্ভব সাবান-পানি ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।
এখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া/ঝুঁকি উল্লেখ করা হলো।
একজিমার ঝুঁকি বাড়ায়: হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অতি ব্যবহারে হ্যান্ড ডার্মাটাইটিস বা একজিমার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ত্বককে উক্ত্যক্ত করে: ফ্রিল্যান্স ফর্মুলেশনসের প্রতিষ্ঠাতা ও কসমেটিক কেমিস্ট ভেনেসা থমাস বলেন,
‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার হলো অ্যান্টিসেপ্টিক প্রোডাক্ট, যা ত্বককে জীবাণুমুক্ত করতে ফর্মুলেট করা হয়।
বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায়: ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ক্রিস নরিস বলেন,
‘কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ইথাইল অ্যালকোহল অথবা আইসোপ্রপাইল অ্যালকোহল থাকে।
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে: ডা. নরিস বলেন, ‘ট্রাইক্লোসান সমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজার
বেশি ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়ে, অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিক
সেবনেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ওপর প্রভাব পড়ে না।’
ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে: গবেষণায় দেখা গেছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ট্রাইক্লোসান ইমিউন সিস্টেমেরও
ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ।
শারীরিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে: যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে বেশি সুবাস ছড়ায় সেখানে থালেট ও পারাবেনের মতো বিষাক্ত কেমিক্যাল বেশি থাকে।
সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়: করোনাভাইরাসের মতো রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থেকে সুরক্ষায় অ্যালকোহল-বেসড
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অতি ব্যবহারে একজিমা ও অন্যান্য চর্মরোগ হতে পারে।
