এভিয়েশন নিউজ: আগামী তিন বছরের মধ্যে এভিয়েশন খাতে আরো একশ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বেসরকারি বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। এর মাধ্যমে এয়ারলাইন্সটিতে বড় ধরনের সম্প্রসারণ হতে যাচ্ছে। এই সম্প্রসারণে এক হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
এই সময়ের মধ্যে ৫ থেকে ৬টি উড়োজাহাজ কেনা হবে। এর মধ্যে থাকবে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ব্রাজিলের এমব্রায়ার ইআরজে ১৪৫। এর মাধ্যমে ১৩টি আন্তর্জাতিক রুট চালু করবে রিজেন্ট।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) সালমান হাবিব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এভিয়েশন খাতের প্রবৃদ্ধি ভালো, যাত্রীও বাড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি বিদেশে যাওয়ার হার বাড়ছে। এসব দিক বিবেচনায় রিজেন্ট এয়ারওয়েজ নতুন করে বিনিয়োগে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন বিনিয়োগের ফলে রিজেন্টের আসন সক্ষমতা ৯৩ শতাংশ বাড়বে। তাছাড়া ফ্লাইট সংখ্যা বাড়বে ৪৪৩ থেকে ৬৩৫টি। বর্তমানে এই খাতের মার্কেট ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পা রেখে রিজেন্টের নতুন বিনিয়োগ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করে।
এয়ারলাইন্সটিকে আরো গতিশীল করতে সম্প্রতি এভিয়েশন খাতে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্যাম আইজ্যাককে সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইজ্যাক এর আগে ভারতের বেসরকারি এয়ারলাইন্স স্পাইসজেটের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, ২০২০ সাল নাগাদ আকাশপথে যাত্রী সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। কার্গো পরিবহন তিন লাখ ৬০ হাজার টনে উন্নীত হবে। এই যাত্রী সংখ্যা ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আর কার্গো বাড়বে ৫৬.৫ শতাংশ।
এসব তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এয়ারলাইন্সটি আগামী তিন বছরের মধ্যে ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর চিন্তা করছে। এর মধ্যে দোহা, মাস্কাট, আবুধাবি, রিয়াদ, জেদ্দা, মালয়েশিয়াসহ ভারতের বেশ কয়েকটি গন্তব্যে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
২০১০ সালে ড্যাশ-৮ কিউ৩০০ উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এয়ারওয়েজটি। বর্তমানে এর বহরে বোয়িং ৭৩৭-৭০০ দুটি এবং তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ রয়েছে। যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এয়ারলাইন্সটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। চট্টগ্রাম ভিত্তিক হাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট। টেক্সটাইল, সিমেন্ট, স্টিল, ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংকিং, বিদ্যুৎ, রিয়েল স্টেট খাতের ব্যবসা রয়েছে হাবিব গ্রুপের।