চন্দ্রজয়ের পর কাছাকাছি দূরত্বের অন্য গ্রহগুলোতে পদচিহ্ন রাখার লক্ষ্যে মানুষ নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আশির দশকে বেশ কয়েকবার সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন মহাকাশ সংস্থা মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণে সক্ষম হয়।
এরপরই পৃথিবীর বাইরে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাসযোগ্য আবাসস্থল গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।
এখন প্রশ্ন হলো, মহাকাশবিজ্ঞানীরা এজন্য মঙ্গলকেই বেছে নিলেন কেন? কারণ সৌরজগতের মধ্যে একমাত্র মঙ্গল গ্রহকেই পৃথিবীর ‘যমজ ভাই’ মনে করা হয়।
পৃথিবীর মতো ভূ-ত্বক রয়েছে এই গ্রহে। ভূ-ত্বকে রয়েছে চাঁদের মতো অসংখ্য খাঁদ। রয়েছে আগ্নেয়গিরি, মরুভূমি এবং মেরুদেশীয় বরফ।
সুতরাং আদাজল খেয়ে মাঠে নামেন বিজ্ঞানীরা। তৈরি করে ফেলেন মঙ্গলে মানুষ বহনে সক্ষম মহাকাশযান!
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক আশা করেন,
এ শতাব্দীর মাঝামাঝি মানুষের মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন পূরণ হবে। কিন্তু সত্যি কি তাই?
‘লাল গ্রহ’ হিসেবে পরিচিত মঙ্গলের বৈরী আবহাওয়ায় বেঁচে থাকাটাই হলো আসল চ্যালেঞ্জ।
মঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হলে আপনি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই গ্রহের তীব্র তেজস্ক্রিয়তায় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন।
শুধু কি তাই! অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের চেয়ে তীব্র ঠান্ডা মঙ্গলের আবহাওয়া। তার ওপর মঙ্গলের বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্য।
আর মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ খুবই কম হওয়ায় বাইরের তাপমাত্রার প্রভাবে আপনার রক্ত রীতিমতো ফুটতে শুরু করবে।
তাই এই গ্রহে ল্যান্ড করার পর কোনো মানুষই স্বাভাবিকভাবে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারবে না। বুঝতেই পারছেন, মঙ্গলে বসতি গড়ার ব্যাপারটা খুব সহজ নয়।