গত বছরের মতো চলতি বছরও বাংলাদেশ বিমান লাভবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
মেনন বলেন, বিমানকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করার পর ৬ বছর ক্রমাগত লোকসান দিচ্ছিল। গতবছর থেকে বিমান লাভের মুখ দেখছে। এ বছরও লাভ করবে ।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে এই খাতে সাড়ে ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
এদেশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আগামী মাস থেকে দেশে ও দেশের বাইরে প্রচার চালানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন পর্যটক আসলে ১১ জন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়। আমরা চীন, থাইল্যান্ড, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া থেকে পর্যটক আকৃষ্ট করতে চাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাবনার দিক থেকে গার্মেন্ট শিল্পের পরই হতে পারে পর্যটন খাত। যদিও বাংলাদেশে এখনও পর্যটনের ব্যাপারে ততটা অগ্রগতি হয়নি। তবে কয়েক বছরে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বহিঃবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। মালয়েশিয়া, নেপাল থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পর্যটন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘লোকসানের মূল কারণ ছিলো বিমানের জাহাজগুলো পুরোনো। সে কারণে অনেকগুলো রুট বন্ধ হয়েছিল। এখন অভ্যন্তরীণ রুটে দিনে দুটি করে ফ্লাইট চলছে।
রাশেদ খান মেনন জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত হবে। পদ্মার ওপারে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চারটি স্থানে সম্ভাবতা যাচাই হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে ফিরে আসতে পেরেছি। রাষ্ট্রীয় চার মুলনীতিতে ফিরেছি। যদিও কিছু অসংগতি রয়েছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়ে গেছে।’