রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউরোপিয়ান অঞ্চলে কভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভির ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে দ্য ইউরোপিয়ান কমিশন। অবশ্য ওষুধটি শর্তসাপেক্ষে বাজারজাতকরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। রেমডেসিভির প্রস্তুতকারক কোম্পানি গিলিয়াড গায়েন্স আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে।

ভাইরাসনাশক রেমডেসিভির মূলত ইবোলার ওষুধ হিসেবে আবিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, করোনাভাইরাসের যে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারা এ ওষুধটি খেয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ রেমডেসিভির অনুমোদন দিয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদাও তুঙ্গে। এ সপ্তাহে এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আগামী তিন মাসে গিলিয়াডের সব সরবরাহ কিনে নিয়েছে আমেরিকান সরকার। এবার অনুমোদন দিল ইউরোপিয়ান কমিশন।

অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স ও ১২ বছরের বেশি বয়সী কিশোরদের কিংবা যাদের ওজন ৪০ কিলোগ্রামের বেশি তাদের কভিড-১৯ চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যাবে।

গিলিয়াড সায়েন্স এর প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. মেরদাদ পারসেই বলেন, ‘মহামারীর এই নজিরবিহীন সময়ে অত্যন্ত দ্রুত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রেমডেসিভিরকে স্বীকৃতি দেয়ায় ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির প্রশংসা করতেই হয়। ইউরোপজুড়ে কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই শর্তযুক্ত অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।’

যুক্তরাষ্ট্রে একমাত্র ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভিরই করোনাভাইরাস চিকিৎসায় অনুমোদন পেয়েছে। নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়ালও হয়েছে। তাতে দেখা যায়, এই ওষুধ সেবনের ফলে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ১৫ দিন থেকে কমে ১১ দিনে নেমে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস এর পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি নিজেই বলেছেন, ‘তথ্য-প্রমাণ বলছে, সেরে ওঠার সময় কমাতে রেমডেসিভিরের রয়েছে পরিষ্কার, তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিবাচক প্রভাব।’

জীবন বাঁচাতে, হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করার ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ভূমিকা রাখতে পারে বলে তখন জানান যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.