কুয়েতে আটক বাংলাদেশি এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির সঙ্গে কাজের চুক্তি বাতিল করেছে কুয়েত সিভিল এভিয়েশন। শহিদ ইসলাম পাপুলের ওই কোম্পানিটির এমডি ও সিইও।
স্থানীয় আল কাবাস পত্রিক মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে কুয়েত থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম আরব টাইমসও জানিয়েছে, বাংলাদেশি এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলা হওয়ায় এবং জেলে আটক থাকার কারণে তার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
তবে পাপুলের মালিকানাধীন অন্য কোম্পানির চুক্তি এখনও বৈধ আছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। কুয়েতে পাপুলের চারটি কোম্পানি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যে কোম্পানির ক্লিনিং চুক্তি এখনও বৈধ আছে, সেটির একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি রাজধানী কুয়েত সিটি এবং হাওয়ালি গভর্নেটের বিভিন্ন স্থানের দেখভাল করে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব পাপুলের কোম্পানিগুলোর আর্থিক সমস্যা সমাধান করতে হবে। কারণ সরকারি কৌঁসুলি বাংলাদেশি এমপির মালিকানাধীন কোম্পানির অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। এর ফলে সাধারণ কর্মীরা বেতন বঞ্চিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে তারা কর্মবিরতিতে যেতে পারে, যা সরকারি সংস্থাগুলোর কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার হন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে। পাপুলের গ্রেফতারের পর থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকা তাকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ড।