করোনাভাইরাস–ঝুঁকির মধ্যেও ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ আকাশপথে যোগাযোগ চালু করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুবিধা নিতে পারছে না। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বেশ কয়েকজন যাত্রীর করোনা ধরা
পড়ার পর ঢাকা থেকে একের পর ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে জাপান, কোরিয়া ও সর্বশেষ বন্ধ করেছে ইতালি।
তবে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস ১৭ জুলাই থেকে ঢাকা–কুয়ালালামপুর পথে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু করবে।
এভিয়েশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক মাসে ইতালি, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যাওয়া
অর্ধশতাধিক বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ফলে তুরস্ক ফ্লাইট চালুর কথা বললেও
এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।
সব মিলে আকাশপথে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়ছে বাংলাদেশ।
বিদেশে যাওয়ার পর বিমানবন্দরেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের শরীরে করোনা শনাক্ত হচ্ছে কেন, তার কোনো সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি দায়িত্বশীল কেউ। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছে। কর্মকর্তাদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বিমান যাত্রীদের নির্ভুলভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের প্রক্রিয়ায় গলদ আছে। দেখা যাচ্ছে, করোনা রোগী ভুয়া সনদ নিয়ে সুস্থ সেজে উড়োজাহাজে উঠে পড়ছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মহিবুল হক এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে হবে, এটা কোনো দেশ বাধ্যতামূলক করেনি। করোনা সনদ বাধ্যতামূলক না করে শুধু শুধু দোষ চাপালে তো চলবে না।