হৃতিক রোশন-কঙ্গনা রানাউতের সম্পর্ক ঘিরে বিতর্ক ছুঁয়েছে অন্য মাত্রা।
সম্প্রতি হৃতিক পুলিশের কাছে কঙ্গনার পাঠানো এমন কিছু ই-মেল জমা দিয়েছেন, যা থেকে মনে হচ্ছে- এই সম্পর্ক একেবারেই একতরফা।
মেইলে কঙ্গনা হৃতিককে নগ্ন ছবি পর্যন্ত পাঠিয়েছেন।
মেইলের বর্ণনায় কঙ্গনা স্বীকার করেছেন, কিশোরী বয়সে হৃতিকের ছবি দেখেই তিনি প্রেমে পড়ে যান।
কঙ্গনা হৃতিক রোশনকে সশরীরে দেখার আগেই নাকি তার প্রেমে মশগুল হয়েছিলেন। তখনও অবশ্য কিশোরী কঙ্গনা!
কঙ্গনার ইমেল অ্যাড্রেস থেকে ‘ভুয়ো’ হৃতিককে পাঠানো একটি মেলে তেমনই ‘স্বীকারোক্তি’ রয়েছে নায়িকার।
তাতে লেখা, ‘মানালিতে একটি হিন্দি দৈনিকে তোমার ছবি দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, আরে! এই লোকটা তো আমারই!’
মেলের বয়ান অনুযায়ী, সেই ঘটনাটি পরে হৃতিককে জানিয়েওছিলেন কঙ্গনা। যদিও সেই আকর্ষণ প্রেম কি না, সে বিষয়ে তখনই দ্বিধামুক্ত হতে পারেননি বলিউডের অধুনা ‘কুইন’।
তবে এটুকু বুঝেছেন যে, সেই অনুভূতি নিছকই কোনো কিশোরীর ‘ক্রাশ’ ছিল না।
ওই ই-মেলে হৃতিকের প্রতি তার আকর্ষণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘অনুভূতিটা তখনও স্পষ্ট বুঝিনি। তখন সিনেমা দেখতাম না, চিত্রতারকাদের সম্পর্কে কোনো মোহও ছিল না। তবে তোমায় দেখলেই শরীর-মনে অদ্ভুত এক শিরশিরানি খেলে যেত। মনে হতো, তোমার দৃষ্টি আমার শরীর থেকে আত্মাকে নিংড়ে বার করে নিচ্ছে। অস্বস্তি হতো, হতাশায় ভরে উঠতাম।’
পরবর্তীকালে হৃতিকের দুটি ছবির নায়িকা হলেও ই-মেল বলছে, কৈশোরের সেই স্বপনচারীর থেকে তখনও সাড়া পাননি কঙ্গনা। হৃতিক সম্পর্কে তার তখনকার অনুভূতিও ছিল আলো-আঁধারিতে ভরা।
ই-মেলে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমাদের পরিচয়ের পরেও তোমার আচরণ ছিল অদ্ভুত। আমায় কিছু বলনি, আমার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করনি। ভাবতাম যাকে এত চাই, আমার ব্যাপারে সে কেন এত উদাসীন?’
ওই ই-মেলেরই শেষ পর্বে বোঝা-না বোঝার দ্বন্দ্ব কাটিয়ে তার প্রতি হৃতিকের প্রেমও দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়েছে কঙ্গনার কাছে!
হৃতিক এমন কোনো সম্পর্কের কথা আগাগোড়া অস্বীকার করলেও তার উদ্দেশে কঙ্গনার ‘মেলদূত’ বলছে, ‘আজ আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, তুমি শুধু আমাকেই ভালবাস। আমি শুধুই তোমার, আর কারও নই। তবে তোমার এই বোধোদয়টা ভিন্নভাবে ঘটেছে।…তোমার দিকে তাকিয়ে ভাবতাম, ও যে আমায় কতটা ভালবাসে তা ও নিজেই বোঝে না! কতগুলি বছর যে সেই দুঃখে কেটেছে, তা ঈশ্বরই জানেন!’
আরেকটি মেলে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হৃতিকের উদ্দেশে কঙ্গনা নাকি লিখেছেন, ‘আমরা যখন প্রথম বার একসঙ্গে থাকব, এমন কিছুই তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।’
কঙ্গনা আরও লিখেছিলেন, কিছু দিন ধরে তোমার সঙ্গেই থাকছি বলে মনে হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিলে? তোমার ডিভোর্স না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব?
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ও এবেলা