ঢাকা: শুক্রবারে দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে তুষি। হলে হলে থাকবেন ‘আইসক্রিম’ নিয়ে। হাতে একদম সময় নেই। মোটেই দু’দিন। তাই সময় কাটছে তুমুল ব্যস্ততায়। আজ এ চ্যানেলে তো কাল আরেক চ্যানেলে। পত্রিকাগুলোতে রুটিন করে দিচ্ছেন ইন্টারভিউ। ঘুরে ফিরে সেই প্রশ্নটার উত্তরই বারবার দিতে হচ্ছে তাকে।
সিনেমার নাম আইসক্রিম কেন?
তুষির ঝটপট ব্যাখ্যা, ‘আইসক্রিম খুব কালারফুল। আইসক্রিমকে ঠিকঠাক রাখতে চাইলে টেম্পারেচারটা মেইনটেইন করতে হয়। তা নাহলে গলে যায়। আমাদের সম্পর্কগুলো ঠিক তেমনই। ঠিকমতো কেয়ার করতে হয়। অন্যথায় টেকে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই নামটি ‘আইসক্রিম’। তো, আইসক্রিম’র নায়িকা কি আইসক্রিম খান? ‘একদম নাহ! আইসক্রিম খেতে পারিনা। ঠান্ডার প্রবলেম আছে!’
যাক, সিনেমায় আপনার চরিত্রটা কী? ‘আমার নাম প্রিয়তা আহমেদ। জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার। অনেকটা স্বাধীনচেতা মেয়ে। ছবির বাকি দু’জন আমার খুব ভালো বন্ধু। ওদের একজন জব করে আরেকজন পড়াশোনা করে।’ শুধু পর্দায়ই নয়, বাইরেও তিনজনের কেমিস্ট্রিটা দুর্দান্ত। ছবিতে নাম লেখানোর আগে কারো সঙ্গেই খুব একটা পরিচয় ছিল না। নাম লেখানোর পরই পরিচয়। টানা তিনমাস গ্রুমিংয়ে তিনজনের বন্ডিংটা এখন চমৎকার। সে কারণেই হয়তোবা খুব সহজেই সিনেমার লাভ সিনগুলো সাবলীলভাবে করতে পেরেছেন তারা।
যেমনটি জানালেন তুষি, ‘ওদের সঙ্গে আমি অনেক ফ্রেন্ডলি ছিলাম। তাই সিনগুলোতে কোন প্রবলেমই হয়নি। কিভাবে যেন এক টেকেই ওকে হয়ে গেছে। বেশ ডেডিকেটেডলি কাজ করেছে সবাই। অভিনয়ের সময় বাইরের কিছুই মাথায় ছিলনা। চরিত্রের মধ্যে ঢুকে ছিলাম।’
তবে পুরো কাজটা তার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। কারণ অভিনয়ের কোন ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তার। নেই ছোটপর্দায় কাজের অভিজ্ঞতা। ফুয়েল বলতে শুধু তুষির ইচ্ছাশক্তিই ছিল। চরিত্রটা জন্য নিজেকে দিনে দিনে প্রস্তুত করেছেন। চরিত্রটা কিভাবে কথা বলে, কি ধরনের রেস্টুরেন্টে খায়-এসব স্টাডি করেছেন। রিলেডেট ছবিও দেখেছেন প্রচুর। নিজের সেরাটাই ঢেলে দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে।
তাই ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশাটাও একটু বেশিই, ‘প্রত্যেক মানুষ নিজের সিনেমা নিয়ে ভালো বলবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে ছবিটা করে আমার প্রাপ্তি হলো নিজস্ব আত্মতৃপ্তি ফুলফিল হয়েছে। শর্টগুলো দেখলে মনে হয় স্টোরিটা অন্যরকম। মা, খালা, ভাই-যে সিনেমা দেখুক আমাদের তিনজনের ক্যারেক্টারের মধ্যে কাউকে না কাউকে খুঁজে পাবে।’
সিনেমাই আপাতত তুষির ধ্যাণ-জ্ঞান। সিনেমার জন্য অনেক কিছুই ছেড়েছেন। ল্যাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার পর অন্য সব মেয়েরাই নাটক আর টিভিসিতে ঝুঁকেছে। নিজেকে ঝালিয়ে নেয়ার পর হয়তো কেউ কেউ বড়পর্দায় পা দিয়েছে।
কিন্তু তুষি নাটক-টিভিসি ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন বড়পর্দায়। ছোটপর্দার অনেক অফারই ছেড়ে দিয়েছেন সিনেমার কারণে। সিনেমার প্রতি আমার ফ্যাশিনেশন কাজ করতো। অ্যাক্টিংয়ের প্ল্যাটফর্মই হলো সিনেমা। তাই সিনেমাকে ঘিরেই আমার যতো ভালোলাগা। শুরু থেকেই আমি সিনেমায় করতে চেয়েছিলাম। আমার ভাগ্যটা ভালো যে সেই সুযোগটা পেয়েছি।’
অভিনয়ে তিনি আইডল মানেন দিপীকা পাড়ুকোন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও জয়া আহসানকে। সিনেমাতেই নিজের ক্যারিয়ারটা পাকা করতে চান। জানিয়ে রাখলেন পরিকল্পনা কথাও, ‘আগে থেকেই প্ল্যান ছিল। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্ট্রেস হবো। ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টরদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’