বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের বিপক্ষে ৪২ শতাংশ: জরিপ

biometric_0গ্রাহকরা আসলেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে কতটা সাড়া দিচ্ছেন তা নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রযুক্তি পাতায় একটি জরিপ চালানো হয়। জরিপে দেখা গেছে ইতোমধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে ফেলেছেন এমন গ্রাহক ৩৩ শতাংশ, এখনো করেননি তবে করবেন ১৩ শতাংশ, সিদ্ধান্তহীন্তায় রয়েছেন ১২ শতাংশ, করবেনই না এমন মত দিয়েছেন পরিমাণ ৪২ শতাংশ মোবাইল গ্রাহক। জরিপে ভোট দেওয়ার জন্য চারটি অপশন রাখা হয়- করে ফেলেছি, এখনো করিনি তবে করব, সিদ্ধান্তহীনতায় আছি, করবই না।

এ খবর প্রকাশের আগ পর্যন্ত এই জরিপে মোট অংশ নেন ২৫০ জন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রযুক্তি পাঠকরা দৈবচয়ন পদ্ধতিতে এ জরিপে অংশ নিয়েছেন। সরকার ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে জানিয়েছে আগেই। ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম। এরপর নিবন্ধন না করা সিমগুলো তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, আর নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে আঙুলের ছাপ না মেলায় যারা সিমের নিবন্ধন করতে পারেননি তাদের বিষয় আলাদা করে ভাবার সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদের ক্ষেত্রে ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “কিছু সময়ের জন্য বন্ধ, কয়েক দিন খোলা রাখলাম, আবার কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখলাম, আবার খোলা রাখলাম। “তারপরও যখন একটি সিমে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না তখন বুঝে নেব মালিকানা স্বীকার করতে সমস্যা আছে, সেই সিমগুলো তখন ঝরে পড়বে।”

এই ঝরে পড়ায় সমস্যা হবে না মন্তব্য করে তারানা হালিম বলেন, “নতুন সিম বিক্রি হবে, নতুন সিম বাজারে আসবে। এই সিমগুলো ঝরে পড়বার জন্য এতো কর্মকাণ্ড। সেটাতে আমাদের সমস্যা হবে বলে মনে করি না। আপাতত দেখতে চাই গ্রাহকদের চাহিদা কী। তারা কী ফিল করছে।”

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.