সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ৫ যাত্রী পেল ‘ডিলেইড ব্যাগেজ কমপেনসেশন’

Saudia-Airlinesজেদ্দা থেকে আসা পাঁচ যাত্রীকে অবতরণের পর পর ব্যাগ বুঝিয়ে দিতে না পারায় ‘ডিলেইড ব্যাগেজ কমপেনসেশন’ দিয়েছে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স।

এরা হলেন- মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন, মমতাজ বেগম, মোসাম্মত নূরজাহান, জামসেদ হায়দার ও আবদুল করিম।

জেদ্দা থেকে আসা এসভি-৮০৪ ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে বিজনেস ক্লাসের এক যাত্রী ১০০ ডলার এবং অন্য চারজন ইকোনোমি ক্লাসের যাত্রীর প্রত্যেকে ৭৫ ডলার করে পেয়েছেন।

সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের সুপারভাইজার (কাস্টমার সার্ভিস) মাহফুজ এইচ চৌধুরী এ তথ্য জানান।

‘ডিলেইড ব্যাগেজ কমপেনসেশন’ হচ্ছে কোনো যাত্রী গন্তব্যে অবতরণের পর তাদের ‘ট্রাভেল ব্যাগ’ সঙ্গে সঙ্গে না পেলে ওই যাত্রীকে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের দেওয়া ক্ষতিপূরণ।

গত ৯ এপ্রিল শনিবার দুপুরে বিমানবন্দরের চার নম্বর বেল্টের কাছে সাউদিয়া এয়ালাইনসের বিজনেস ক্লাসে বাংলাদেশ আসা শাহাবউদ্দিনসহ পাঁচ যাত্রী তাদের ব্যাগ বুঝে পাননি।

বিষয়টি জেনে এয়ারলাইনসটির সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রীদের ডিলেইট ব্যাগেজ কমপেনসেশন বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন বিমানবন্দরে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন।

যাত্রী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন বলেন, “জেদ্দা সময় রাত ১টায় সাউদিয়া এয়ারলাইন্সে করে রওনা দিয়ে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছাই। ৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও আমার ৩৫ কেজি ওজনের একটি ব্যাগ পাওয়া যায়নি। সেখানে পরিবারের সদস্যদের জন্য আনা বিভিন্ন সরঞ্জাম ছিল।”

২৫/২৬ বছর ধরে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাস করা ফেনীর এই ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পেলেও বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করতে পারেন তিনি। রাতে সাড়ে ৯টার দিকে তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তখনও বাড়ি পৌছাননি তিনি।

“সাউদিয়া বলেছে ব্যাগ আসলে তারা ফোন করে জানাবে। এখন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে,” বলেন তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা যেন বিমানবন্দরে এসে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেটি নিশ্চিতে বেসামরিক পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই যাত্রীদের ‘হয়রানির’ কথা সাউদিয়াকে জানানো হলে তারা ক্ষতিপূরণ দেয়।”

ভবিষ্যতে কোন এয়ারলাইন্সে যাত্রীরা যেন ব্যাগেজ সংক্রান্ত কোন সমস্যায় না পড়েন সেটি নিশ্চিতে মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আইন অনুযায়ী কোনো কারণে যাত্রী তার লাগেজ যাত্রা শেষে বুঝে না পেলে এবং তার পরের ২১ দিনের মধ্যেও ব্যাগ না আসলে যাত্রী হারানো ব্যাগেজের পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাবেন।

এছাড়া ব্যাগেজের জন্য পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে যদি ব্যাগ পাওয়া যায় তাহলে যাত্রী ব্যাগও পাবেন বলে জানান বিমানবন্দরে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.