চলতি বছরের মে মাস ছিল যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্স কোম্পানির জন্য সবচেয়ে কঠিন মাস। আগের বছরের মে মাসের তুলনায় এই মে মাসে ৯০ শতাংশ ফ্লাইট বন্ধ এবং সিডিউলে নানা পরিবর্তন ছিল।
ব্যুরো অব ট্রান্সপোর্টেশন স্ট্যাটিসটিকস (বিটিএস) জানিয়েছে, করোনার মধ্যে ফ্লাইটের সংখ্যা কমে যাওয়ার ব্যাপারে আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্সগুলো মে মাসে মাত্র ১৮ হাজার ১৫১ ফ্লাইট উড়িয়েছে, যা ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে কম হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। ২০১৯ সালে অভ্যন্তরীণ রুটে ৭.৯ মিলিয়নের বেশি ফ্লাইট উড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, বিমানে চড়েছে ৮১১ মিলিয়ন মানুষ। দ্য পয়েন্টসগাই ডটকমের খবর।
খবরে বলা হয়, বিমান পরিবহনের জন্য মে মাস অত্যন্ত খারাপ মাস গেল। করোনার আগের কালটা এয়ারলাইন্সের জন্য ছিল স্বর্ণযুগ। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি বিমান শিল্পকে চরম দুর্দশায় ঠেলে দিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স এপ্রিলে সিডিউলের অর্ধেকের বেশি ফ্লাইট উড়িয়েছিল, তবে মাত্র ১০ শতাংশ আসন পূর্ণ ছিল। কিন্তু মে মাসে এ অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিল।
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্সগুলো মার্চ মাসে উড়িয়েছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯০ ফ্লাইট। যা মে মাসের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি ছিল।
মে মাসের বেহাল ফ্লাইটের পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগ ছিল আকাশচুম্বি। বিটিএস বলছে, আগের বছরের মাসে গ্রাহকদের অভিযোগ সংখ্যা ছিল ১৫৯১, আর এবছর মে মাসে অভিযোগ ২১ হাজার ৯১৪টিতে দাঁড়ায়। ২০ হাজার ৯১৫টি টিকিটের টাকা মে মাসে ফেরত দেয়া হয় যাত্রীদের। তবে জুনে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রতিটি এয়ারলাইন্স তাদের আগের বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদের তুলতে থাকে। এমনকি ফ্রন্টিয়ার ও স্পিরিট এয়ারলাইন্স নতুর রুটের উদ্বোধনও করে। তবে জুলাই মাসে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো আবারও সংকটে পড়ে।
ক্রিমিয়াম ডাটা অনুযায়ী, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বেড়ে ৪ লাখ ৩৫ হাজারে ঠেকেছে। এমনকি সেপ্টেম্বরের জন্য ৩ লাখ ৮৭ হাজার টিকিট বুকিং হয়ে গেছে। এজন্য মে মাসকে ‘অসন্তুষ্টির শরৎ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন জেপি মর্গান অ্যানালিস্ট জিমি বেকার।