চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে ১০৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হন ১৭ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় দুজনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে আর ১০ জনকে।
১৪টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে মহিলা পরিষদ এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে ৪৬৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর এই মাসজুড়ে বিভিন্ন কারণে ৭৯ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়। যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হন ২০ জন নারী; যাদের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১১ জনকে। আর হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে একজনকে।
মঙ্গলবার মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাসটিতে তিনজন শ্লীলতাহানি ও ১৮ জন যৌন নির্যাতনের শিকার হন। এসিডদগ্ধ হয়েছে ৬ জন। আর অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে ৭টি।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময়ে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২৫টি। নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে ৫টি, যার মধ্যে যৌনপল্লীতে বিক্রি করা হয়েছে একজনকে। উত্ত্যক্তের শিকার হন ১৬ জন।
এতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৩৪ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন; আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়া হয়েছে দুজনকে। ৩৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মহিলা পরিষদের হিসাব মতে, এসময়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১৫ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৩৯ জনকে; প্রেম প্রত্যাখ্যানে হয়েছে একটি। আর পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুজন। একজন গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া নানাভাবে ৩৫টি অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।