শুভ জন্মদিন অড্রে হেপবার্ন

9f9d6efbd7568f8c55062084b66ad3bf-Adrew-Hepburn-1বিশ্ব চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের এক জোড়া চোখে না–জানি কত পুরুষের হৃদয় হারিয়েছিল। হারিয়েছিল বললে হয়তো একটু ভুল বলা হবে। তাঁর সেই ডাগর চোখের চাহনি আজও যে মুগ্ধ করে বিশ্বের অগণন মানুষকে। শুধু কি পুরুষের মনই জয় করেছিলেন এই অভিনেত্রী? তাঁর সময়ের প্রায় সব মেয়েই নাকি তাঁর মতো করে চুল কাটাতেন। সে সময়কার স্টাইল আইকনে পরিণত হয়েছিলেন এই ‘রোমান হলিডে’ তারকা।
আজ তাঁর জন্মদিন। অড্রে হেপবার্ন জন্মেছিলেন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, ১৯২৯ সালে। এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী তাঁর অভিনয়জীবনে অস্কার, অ্যামি, গ্র্যামি ও টনি অ্যাওয়ার্ডের মতো সম্মানজনক অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। খুব কম অভিনয়শিল্পীদের ঝুলিতেই একসঙ্গে এত সব পুরস্কার উঠেছে।অড্রে হেপবার্ন
মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ব্যালে নাচ শেখার আগ্রহ জেগেছিল তাঁর মনে। ১৯৪৮ সালে নাম লিখিয়েছিলেন অভিনয়ে। অভিনয় করেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী ছবিতে। তার মধ্যে ‘রোমান হলিডে’, ‘ব্রেকফাস্ট অ্যট টিফানি’স’, ‘সাবরিনা’, ‘দ্য নান’স স্টোরি’, ‘মাই ফেয়ার লেডি’ উল্লেখযোগ্য। মার্কিন চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের বিবেচনায় মার্কিন চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা তিন অভিনেত্রীর একজন অড্রে হেপবার্ন।
জনপ্রিয় এই তারকা অভিনেত্রী খুব কাছ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছিলেন। এরপর তিনি আরও বেশি মানবিক হয়ে ওঠেন। পরবর্তী জীবনে জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন অড্রে হেপবার্ন। বিশ্বের শিশুদের কল্যাণের লক্ষ্যে ইউনিসেফের দূত হিসেবে আমৃত্যু কাজ করেছেন। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’-এ ভূষিত করা হয়। শেষজীবনে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ১৯৯৩ সালে সুইজারল্যান্ডে জীবনাবসান ঘটে অড্রে হেপবার্নের। অসাধারণ এক সৌন্দর্য ছিল অড্রে হেপবার্নের। অভিনয়েও সর্বকালের সেরা অভিনেত্রীর আসনটি তাঁর অনায়াস আয়ত্তে এসেছিল। মিড ডে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.