বিমানবন্দর রোডের খিলক্ষেতের চার তারকা হোটেল ঢাকা রিজেন্সিতে মোট তিন দিনের অভিযান চালিয়ে এসব মাদক জব্দ করা হয় বলে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যে ২৯ এপ্রিল ঢাকা রিজেন্সিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রথম অভিযান চালান। অভিযানে ঘোষণা ছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ ও বিয়ারের মজুদ পাওয়া যায়, যা শুল্ক গোয়েন্দারা আটক করে হোটেল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দিয়ে আসেন।
“পরবর্তীতে ১ এবং ৩ মে তল্লাসি চালিয়ে হোটেলের গুদাম ও বার থেকে তাদের জিম্মায় রেখে আসা মদ ও বিয়ারের চালান জব্দ করেন গোয়েন্দারা।”
এসময় হোটেলের মদের রেজিস্ট্রার খাতাও জব্দ করা হয় বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মইনুল।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, তিন দিনের অভিযানে জব্দ করা বিদেশি মদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮১ লিটার। অভিযানে ৯১টি বিদেশি মদের বোতলও উদ্ধার হয়।
রেজিস্ট্রার খাতায় দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ওই হোটেলে ২৭ টন মদ ও বিয়ার বিক্রি হয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রারের হিসাবে দেখা গেছে, হোটেলটি সাড়ে ৬ টন মদ ও বিয়ার বিক্রি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার খাতা অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২৩৭৬ লিটার হেনিকেন বিয়ার আমদানি করলেও বিক্রি করা হয় ৭২১৮ লিটার; অর্থাৎ ৪৮৪২ লিটার অবৈধভাবে সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়েছে।
হোটেলটি থেকে প্রায় ২২ কেজি সীসা ফ্লেভারও উদ্ধার করা হয়, যার বিপরীতে কর্তৃপক্ষ আমদানি সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।
বাকি প্রায় ২১ টন মদ ও বিয়ার কোত্থেকে আনা হয়- তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানান শুল্ক কর্মকর্তা মইনুল।