সম্ভ্রম না দেয়ায় সৌদি থেকে ফিরল তার লাশ

রান্না করা, ঘর মোছা, ঘর গুছানো থেকে শুরু সব কাজ করতে হত উম্মে কুলসুমকে।
সারাদিনের পরিশ্রম শেষে থেকে যাওয়া উচ্ছিষ্ট খাবার খেতে চাইলে তাও মিলত না।
ক্ষুধায় কাতরানো যেন নিত্যদিনের ঘটনা।
নিজের বেতনের টাকায় আনা খাবারও নিয়ে যেত বাড়ির ছোট্ট শিশুরা।
এসব নিয়ে কথা বললেই চলতো নির্যাতন।

কুলসুমের ওপর নজর পড়ে বাড়ির মালিকের ছেলের।
১৩ বছর বয়স পার করা মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চায় ওই ছেলে। একদিন তাকে জোরপূর্বক বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার জন্যে পিড়াপীড়ি শুরু করে।
কুলসুম কোনোভাবেই এতে রাজি হয় না।
এক কথা দুই কথায় কুলসুমের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়্গ।
নিপীড়নের পর ফেলে রাখা হয় বাড়ির বাইরে। পুলিশ কুলসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

কুলসুম এখন বেঁচে নেই।
কয়েক মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সৌদি আরব থেকে লাশ হয়ে ফিরেছে নিজ বাড়িতে।
কুলসুম ওরফে সানজিদার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে।

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.