শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

pm_1পার্বত্য শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘শান্তিচুক্তির প্রায় অধিকাংশ ধারা কিন্তু আমরা বাস্তবায়ন করেছি। পার্বত্য অঞ্চলে সবাই যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে তার সরকার। এ ক্ষেত্রে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

রোববার সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচনকালে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশই প্রথম কোনো দেশ যারা মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর তা বাস্তবায়নে কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ, তারা তো আমাদেরই দেশের মানুষ। এই অঞ্চলের উন্নয়নে আমরা নজর দিয়েছি। আজকে ওই অঞ্চল উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি কিন্তু আমরা হাতে নিয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা রাস্তাঘাট, ব্রিজ করেছি। চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছি। বিদ্যুৎ দিয়েছি, কারিগরি প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছি, যেন ছেলেমেয়েরা শিক্ষা নিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,পার্বত্যাঞ্চলে একসময় সংঘাত ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই সংঘাত বন্ধে শান্তিচুক্তি করেছে।পার্বত্য শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে যখন অস্ত্র সমর্পণের আয়োজন করা হয়, তখন বিএনপি হরতাল ডাকে। তারা বলেছিল, অস্ত্র সমর্পণ করা যাবে না। সে সময় বিএনপি নেত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, এই চুক্তি হলে নাকি ফেনী থেকে পুরো পার্বত্যাঞ্চল ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। দেশের ভেতর থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা হয়েছে। কেন হয়েছে তাও জানি না তবু সেই চুক্তি হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যদিও শান্তিচুক্তি এতো সহজ ছিলো না। পাহাড়ি অঞ্চলে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে হয়েছে। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। শান্তিচুক্তি হলেও ২০০১ বিএনপি ক্ষমতায় এসে পার্বত্য অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন নেটওয়ার্ক দেয়নি জানি। আমরা ক্ষমতায় এসে সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করেছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালিদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। আর পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পক্ষে ছিলেন জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.