ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক থেকে সিন্ডিকেট মেয়াদি ঋণ হিসেবে ৭০০ কোটি টাকা পাচ্ছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড। এই ঋণের লিড অ্যারেঞ্জার ও এজেন্ট হচ্ছে ব্যাংক এশিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এসংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স।
ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে এই সিন্ডিকেট ঋণের সহ-আয়োজক ঢাকা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও এমডি মো. আরফান আলী, ঢাকা ব্যাংকের এমডি এমরানুল হক, পূবালী ব্যাংকের এমডি আব্দুল হালিম চৌধুরী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এএমডি মোস্তাফা খায়ের, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের এএমডি তৌহিদুল আলম, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এএমডি মামদুদুর রশিদসহ অর্থায়নকারী ব্যাংক ও বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘এই সংকেটর মুহূর্তেও ব্যাংকগুলো বসুন্ধরার পাশে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থায়ন ছাড়া কোনো ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব নয়।
এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে আমাদের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে। আশা করছি সবার সহযোগিতায় প্রকল্পগুলো সফলতার সঙ্গে সম্পূর্ণ করতে পারব।’ এ জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
ব্যাংক এশিয়ার এমডি মো. আরফান আলী লিখিত বক্তব্যে দেশের অর্থনীতিতে বসুন্ধরা গ্রুপের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শীর্ষ ব্যবসায়ী শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
গ্রুপটির বহুমুখী ব্যবসা রয়েছে, এর মধ্যে কমবেশি ২০টি প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টায় দেশের অন্যতম শীর্ষ সিমেন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে বসুন্ধরার এই সিমেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্যাংকিং খাতের ভালো গ্রাহক হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রশংসা করে পূবালী ব্যাংকের এমডি আবদুল হালিম চৌধুরী বলেন, ‘এই সিন্ডিকেট ঋণের ১০০ কোটি টাকার বিষয়ে আমি যখন পরিচালনা পর্ষদে প্রস্তাব উপস্থাপন করি, তখন সেটা পাস করতে এক মিনিটও লাগেনি।
পর্ষদ বসুন্ধরার কথা শুনেই ঋণ প্রস্তাবটিতে তাত্ক্ষণিক সম্মতি দেয়। কারণ বসুন্ধরা কখনো ফেল করে না। যে ব্যবসায়ই যায় ১ নম্বরে থাকে। সেটা সিমেন্ট, আবাসিক বা অন্য যেকোনো ব্যবসা হোক।’ তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরার মতো গ্রুপই সোনার বাংলাদেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।
এই গ্রুপের মতো আরো গ্রুপ তৈরি হলে আমরা সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে পারব।’ বসুন্ধরা গ্রুপ আরো সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাবে—এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে সব সময় গ্রুপটির পাশে থাকার কথাও জানান তিনি।