সাইবার আক্রমণ রোধ ও ক্রিমিনাল সনাক্তে একটি ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য যোগাগোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (০৯ মে) ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ মিলনায়তনে ‘সাইবার নিরাপক্তার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিগত সমস্যা এখন আর কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ নয়, বৈশ্বিক সমস্যা। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা একটি শক্তিশালী ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করতে যাচ্ছি। শিগগিরই তা পাস হবে।
সাইবার নিরাপত্তা ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে গত সাতবছর ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ঘোষণা করেছেন বলে উল্লেখ করেন পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সার্ভিস নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব ক্ষেত্রে সাইবার আক্রমণের দিকও বিবেচনা করা হচ্ছে। আইসিটি বিভাগে সাইবার আক্রমণ রোধে একটি টিম কাজ করছে। এ টিমে অল্প সংখ্যক সাইবার বিশেষজ্ঞ কাজ করলেও বিশেষজ্ঞের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি খাতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক খাতে সাইবার আক্রমণ রোধে একটি বিশেষায়িত টিম গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পলক।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, লে. কর্ণেল মিশেল সাইমন্ড (ফ্রান্স দূতাবাস), ড. আহমেদ খুরশীদ (ভেরিফ্লো সিস্টেমস), মোহাম্মদ আলী (ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পূর্বালী ব্যাংক লি.), শাফকাত মুনীর (অ্যাসোসিয়েট রিসার্চ ফেলো বিআইপিএসএস), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ-উল-বারী (মহাপরিচালক, বিটিআরসি) ও দেব দুলাল রায় (সিস্টেমস ম্যানেজার, বাংলাদেশ ব্যাংক)।
এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি আওবার্ট।
সেমিনারে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সামরিক কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ফ্যাকাল্টি, স্টাফ ও প্রশিক্ষণার্থীরা অংশ নেন।