পিটিই পরীক্ষার সুযোগ এখন বাংলাদেশে পিয়ারসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে টুভ সুড

etuবাংলাদেশে পিটিই (পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ) একাডেমিক এক্সাম মডেল সম্প্রসারণে এক সাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম কনসালটেন্সি, টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠান টুভ সুড এবং বিশ্বব্যাপী খ্যাতনামা ইংরেজির দক্ষতা নির্ধারণে পরীক্ষা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান পিয়ারসন। বাংলাদেশে পরীক্ষা পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের জন্যই তাদের এ ঘোষণা।
অভিবাসন বা বিদেশে পড়াশোনার জন্য পি টি ই একাডেমিক হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ কম্পিউটারভিত্তিক ইংলিশ টেস্ট। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা অথবা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অভিবাসন ভিসা পেতে যে ইংলিশ দক্ষতার প্রয়োজন হয়, তার জন্য সনদ দিয়ে থাকে পিটিই একাডেমি। অগ্রিম মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে একজন আবেদনকারী পিটিই একাডেমিক পরীক্ষা দিতে পারেন। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তিনঘণ্টার ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এতে একজন আবেদনকারীর সময় ও শ্রম দুটিই বাঁচে। স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার মডিউলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং এবং স্পিকিং টেস্ট রেকর্ড করা হয়। হাভার্ড, ইয়েল এবং ইনসিয়াড এর মতো হাজার হাজার একাডেমিক প্রোগ্রামে সেই ফলাফল গৃহীত হয়ে আসছে। টুভ সুড প্রধানত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক এমন আবেদনকারীদের ট্রেনিং ও মক টেস্ট প্রদান করে থাকে।
পিয়ারসনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং বাংলাদেশে কার্যক্রম বিস্তার সম্পর্কে টুভ সুড বাংলাদেশের (প্রা). লি. কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলান এজিলান বলেন, ” বিদেশে পড়তে যেতে এবং অভিবাসিত হতে ইচ্ছুক এমন বাংলাদেশীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ইংরেজি দক্ষতা বৃদ্ধির পরীক্ষার চাহিদাও বেড়েছে। আবেদনকারীদের প্রথম কথাই হচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতি হবে দ্রুত এবং মানসম্মত। এ লক্ষ্য পূরণের জন্যই আমরা পিয়ারসনের এর সঙ্গে এক হয়ে কাজ শুরু করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “পিয়ারসনের সাথে আমরা যৌথভাবে টেকনিক্যাল এবং ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালদের যেসব সুযোগ-সুবিধা দেব তা তাদের দারুণ কাজে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে সম্ভাব্য বাজার আছে সেটা ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্প্রসারণশীল বাজার হতে পারে বাংলাদেশের জন্য আদর্শ।”

টুভ সুড গ্রুপের মালিকানাধীন টুভ সুড সাউথ এশিয়ার একাডেমি বিভাগ ২০০৮ সাল থেকে ভারতে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে কাজ করে আসছে। টেকনিক্যাল থেকে সফট স্কিল ট্রেনিং এবং দীর্ঘমেয়াদে থেকে একদিনের স্বল্পমেয়াদে অটোমোবাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ফুড, কনস্ট্রাকশন, অয়েল এবং গ্যাসের ওপর ট্রেনিং কার্যক্রম রয়েছে তাদের।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.