যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে আঞ্চলিক পর্বের এই আয়োজন করে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী) স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬ এর আঞ্চলিক পর্ব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ঢাকার ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (আইইউবি) চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা আগে থেকেই জানিয়েছিল, আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ীরা নাসার ফাইনাল কনটেস্টে অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে।
বেসিস সুত্র মতে, নাসার সেমিফাইনালে যেতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের একটি প্রকল্প। শীর্ষ ২৫ এর তালিকায় স্থান করে নেয়া প্রকল্পটি ‘মার্শিয়ান ওয়েসিস’। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পর্যায়ে পিপলস চয়েস ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়েছিলো প্রকল্পটি।
মার্শিয়ান ওয়েসিস’র এখন আরো একধাপ এগিয়ে যেতে প্রয়োজন সমর্থন। অনলাইন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলেই প্রকল্পটি চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মনোনীত হবে।
মার্শিয়ান ওয়েসিস’কে ভোট দিতে প্রথমে https://2016.spaceappschallenge.org/ সাইটে গিয়ে বিনামূল্যে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এরপর https://2016.spaceappschallenge.org/challenges/mars/simspace/projects/martianoasis লিংকে গিয়ে ভোট দিতে হবে। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে একবার ভোট দেয়া যাবে। এভাবে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন একবার করে ভোট দেয়া যাবে।
এ বিষয়ে বেসিসের পরিচালক ও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, সমগ্র এশিয়ার মধ্য থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও জাপানের দুটি প্রকল্প সেমিফাইনালে অবস্থান করছে। এটা বাংলাদেশে জন্য গর্বের বিষয়। ভোট দিয়ে বাংলাদেশি এ প্রকল্পটিকে বিজয়ী করার মোক্ষম সময় এখন। তাই সবাইকে প্রকল্পটিতে ভোট প্রদানের আহ্বান করছি।
বেসিসের এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলো বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ও ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশ। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বাগডুম ডটকম, পিবাজার ডটকম ও পিপলএনটেক এবং অ্যাকাডেমিক পার্টনার হিসেবে ছিলো ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ও চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।