গ্রেটার লন্ডন অথরিটির (জিএলএ) সদস্য পদে লেবার পার্টির মনোনয়নে নির্বাচন করে হেরে গেছেন দুই বাঙালি প্রার্থী।
এরা হলেন- আসনভিত্তিক সরাসরি নির্বাচনে ‘ক্রয়ডন ও সাটন’ এর প্রার্থী মেরিনা আহমদ এবং আনুপাতিক ভোটের হিসাবে সদস্য পদের প্রার্থী মুরাদ কোরেশি।
এদের মধ্যে মুরাদ কোরেশি লেবার পার্টি থেকে জিএলএ সদস্য হিসাবে টানা ১২ বছর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৪ সালে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
একজন মেয়র ও ২৫ জন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে জিএলএ’র নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ তথা গ্রেটার লন্ডন এসেম্বলি গঠিত।
এসেম্বলির ২৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন আসনভিত্তিক নির্বাচনে সরাসরি নির্বাচিত হন। বাকি ১১ জন সব দলের প্রাপ্ত মোট ভোটের আনুপাতিক হিসাব অনুযায়ী নির্বাচিত হন।
এবারে জিএলএ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থীরা সরাসরি ভোটের নয়টি আসনে নির্বাচিত হন। আর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে শীর্ষ অবস্থানের তিনজন লেবার প্রার্থী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
মুরাদ কোরেশির অবস্থান চতুর্থ স্থানে থাকায় তিনি এবার আর নির্বাচিত হতে পারেননি। তাই বিগত এক যুগের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো সিটি হলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো প্রতিনিধি নেই।
এসেম্বলির সদস্যরা সিটি হলে লন্ডনবাসীদের প্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের কাজ যাচাই-বাছাই করেন। তারা মেয়রের কৌশল, সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন কাজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জনস্বার্থ রক্ষা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন।
মেয়রের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিটির উন্নয়ন, ব্যবসা ও অর্থনীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, হাউজিং, পুলিশ, ট্রান্সপোর্ট ও রিজেনারেশন ইত্যাদি দেখাশোনা।
এবারের নির্বাচনে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান জিএলএ’র প্রথম মুসলমান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।