হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত সিভিল অ্যাভিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে রেড লাইনের বিশেষজ্ঞ সদস্যরা। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় চার প্রকারের ন্যাশনাল ইন্সপেক্টর কোর্স, এয়ারপোর্ট ম্যানেজার কোর্স, ট্রেইনার কোর্স ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কোর্স পরিচালিত হবে। বিমানবন্দরে অধিকতর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যেই রেড লাইনের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ দল (প্রশিক্ষক, ব্যবস্থাপক ও স্ক্রিনার) এর তত্ত্বাবধানে একশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশেষায়িত এ কোর্স অচিরেই শুরু হবে।
জানা গেছে, প্রশিক্ষণের আওতায় মোট ১০টি কোর্সে ৪০ জন গ্রাউন্ড সিকিউরিটি অফিসার, ৫জন গ্রাউন্ড সিকিউরিটি সুপারভাইজার, ১০ জন কার্গো অপারেটিভ স্ক্রিনার, ৮ জন কার্গো অপারেটিভ, ২৭ জন কার্গো অপারেটিভ ও ১০ জন ইটিভি অপারেটরসহ মোট ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে রেড লাইনের বিশেষজ্ঞ সদস্যরা।
সবশেষ পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ শাহজালাল বিমান বন্দরের নিরাপত্তার রক্ষার দায়িত্ব নেয় রেড লাইন। তারা প্রথমে বোর্ডিং গেট ২ এ লন্ডনগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা তদারকি শুরু করে। পরবর্তীতে আরও অধিক প্রশস্ত আঙ্গিকে বোর্ডিং গেট ১ এক্স এর আন্তর্জাতিক মানে তারা যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য সাজি নেয়। বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা কর্মী ও স্ক্রিনারদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দানের পর গত ২৪ এপ্রিল তারা আবার বেবিচক নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে লন্ডন ফ্লাইটের দায়িত্ব দেন।