রিজার্ভ চুরি : তিনটি হ্যাকার গ্রুপ জড়িত

011462946087নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরিতে তিনটি হ্যাকার গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ছিল। এগুলোর মধ্যে দুটি গ্রুপ পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার।

রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায় বাংলাদেশের নিযুক্ত করা সিলিকন ভ্যালির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআইয়ের তদন্তে এই তথ্য মিলেছে বলে বিশ্বের বাণিজ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ মঙ্গলবার জানিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করা হয়। এর মধ্যে প্রাপকের নামের বানান ভুলের কারণে ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংক ফেরত পাঠিয়ে দেয়। বাকি ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেয় জড়িতরা। ফেব্রুয়ারিতেই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ফায়ারআইকে এ ঘটনার ফরেনসিক তদন্তের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ। তবে তদন্তকাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।

ফায়ারআইয়ের দুজন কর্মকর্তা ব্লুমবার্গকে বলেছেন, তারা পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার দুটি হ্যাকার গ্রুপের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্স শনাক্ত করতে পেরেছেন। তবে মূল হোতা তৃতীয় গ্রুপটিকে এখনো চিহ্নিত করতে পারেননি। এই গ্রুপটি হয় কোনো অপরাধী চক্র কিংবা কোনো দেশের এজেন্ট হতে পারে।

হ্যাকিংয়ের বিষয়ে কথা বলতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল ব্লুমবার্গ। তবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়া মিশনের কর্মকর্তাদের টেলিফোন ও ই-মেইল করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ ।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চীনা হ্যাকারদের দুষেছিল ফিলিপাইন। তবে বেইজিং এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

ফায়ারআইয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে হ্যাকাররা কীভাবে প্রথমবার প্রবেশ করেছিল, তা এখনো তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে সম্ভবত ব্যাংকের নিজস্ব কোনো কর্মকর্তাই নেটওয়ার্কে প্রথমে ম্যালঅয়্যার বসিয়েছিলেন।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে কি না, তা এখনো তদন্তাধীন। মঙ্গলবার এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরকার কেউ সহায়তা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ব্যাংকের অন্তত একজন কর্মকর্তা এতে জড়িত বলে তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.