মালয়েশিয়ার পেনাং শহরের একটি বিপণী বিতানে অভিযান চালিয়ে নারীসহ ৫২ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া অভিবাসীরা বিপণী বিতানের ফুড কোর্টে বাবুর্চি ও ওয়েটার হিসেবে কাজ করছিলেন। মালয়েশিয়াতে বসবাসের কোনো বৈধ কাগজপত্র তাদের ছিল না।
রোববার গ্রেফতার ৫২ জনের মধ্যে ১১ নারী রয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
পেনাং ইমিগ্রেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল রহমান হাসান বলেন, অভিযানটি পেনাং, কেদাহ, পেরলিস এবং পেরাকের কর্মকর্তাদের দ্বারা সম্মিলিতভাবে পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান শুরু হয়।
রহমান হাসান আরো বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল তাদের দিকে, যারা ফুড কোর্টে বাবুর্চি এবং ওয়েটার হিসেবে কাজ করছেন। আমরা ৪০টির মতো দোকানে অভিযান চালিয়েছি। নিয়োগদাতাদের আমরা ডেকেছি পরবর্তী অনুসন্ধানের জন্য। বেশিরভাগ বিদেশিই বাংলাদেশ, নেপাল এবং ইন্দোনেশিয়ার। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে চারজন সিকিউরিটি গার্ডের পোশাকে ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতদের ইমিগ্রেশন আইনের বিভিন্ন ধারায় বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার কুয়ালালামপুরের জালান সিলাং (কুতারায়া বাংলা মার্কেট) এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩০ বাংলাদেশি যৌনকর্মীকেও আটক করেছে পুলিশ।
সাম্প্রতিক জোরদার অভিযান প্রসঙ্গে কুয়ালালামপুরে বসবাসরত খোকন নামের এক বাংলাদেশি জানান, সাত বছর মালয়েশিয়ায় বাস করছেন তিনি। সাম্প্রতিক অভিযানের খবরে যৌক্তিক কারণেই আতঙ্কে আছেন এখন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিন আগেই, খোকন তার এজেন্টের কাছে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন ভিসা নবায়ন করতে। কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল, পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে খোকন ঠিক মতো কাজকর্মও করতে পারছেন না। কোন প্রয়োজনে বাইরেও যেতে পারছেন না পুলিশের ভয়ে।
মালয়েশিয়াতে অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যা কমাতেই এমন জোরদার অভিযান শুরু হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।