আমদানিতে এলসি খোলা কমছে

2016_05_09_20_10_33_8B8iL9I2miQu7eDGDRmCknjzTtoGjv_originalবিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি খোলা কমেছে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ সময়ে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্য আমদানির এলসি সবচেয়ে বেশি কমেছে। তবে এলসি খোলা কমলেও নয় মাসে নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ এই ৯ মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ৩ হাজার ১৫৬ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ২৩০ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। অন্যদিকে, এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৩ হাজার ২২ কোটি ১২ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৮৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

জানা যায়, এ সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার অনেক কমে গেছে। তবে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খেলার হার বেড়েছে। অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ এই ৯ মাসে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৮৭ কোটি ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৪৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। সে হিসাবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের এলসিও নিষ্পত্তি হয় ৭৬ কোটি ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।

আর পেট্রোলিয়াম তথা জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৬২ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ দশমিক ২১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছিল ২৭২ কোটি ১২ লাখ ডলারের। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এ্কই সময়ে এই পণ্যটির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ২৭১ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছিল ২২৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২২২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এ হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতির নিষ্পত্তি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে শিল্পের কাঁচামালের আমদানি ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২১৫ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। আর এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.