এইচ এম দেলোয়ার, এভিয়েশন নিউজ: ঢাকা কাস্টম্স হাউসে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল আলিম সর্ম্পকে জনশ্রুতি রয়েছে – এসি আব্দুল আলিম ‘‘তেলের বাটি ষোল আনা”।
কমিশনারের সু-পুত্র বলে খ্যাত গ্রুপ-৪-এ কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হাসেম ও একজন রাজস্ব কর্মকর্তা সহ প্রায় ৮-১০ জন কর্মকর্তা ৬ মাসের পোষ্টিং-এ প্রায় দেড় বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এদের মধ্যে রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ুন হাফিজের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের তদবিরও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কমিশানারের সু-পুত্র বলে খ্যাত কর্মকর্তারা হলেনঃ গ্রুপ-৪ এআরও হাশেম, আশিক ও সফিক, (তারা আপন দুই ভাই)। তাদের মধ্যে আশিক হাউসে কর্মরত এবং সফিক ফ্রেইটে কর্মরত। অন্যরা হলেন গ্রুপ-৩ সেলিম, পারওয়ার হোসেন ও অন্যরা।
তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রাইজ প্রোষ্টিং-এ থেকে চোরাকারবারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে নামে-বেনামে বহু বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছেন। ঢাকা কাস্টম হাউসের সাথে সংশ্লিষ্ট সৎ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এসব দূর্নীতিবাজ, ঘুষখোর কর্মকর্তাদের দাপটে আমরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছি, আমাদের ব্যবসা লাঠে ওঠেছে, সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, কুরিয়ার শুল্কায়নে কর্মরত ভূয়া মুজিব নগরী খ্যাত রাজস্ব কর্মকর্তা মেজবাহ্ উদ্দিনের যোগসাজশে কোটি টাকার একটি চালান পার হওয়ার সময় গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে তা ধরে ফেলে।
বিষয়টি হাউস কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এর দায়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রফিককে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। একই প্রক্রিয়ার কুরিয়ার শুল্কায়ন গেট দিয়ে ভূঁয়া ব্যাংক রশিদ দিয়ে পন্য পাচারের সময় গোয়েন্দারা তা আটক করে।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার জাকির হোসেন জানান, “এক্সপার্ট” কর্মকর্তারাই ৬ মাসের পোষ্টিয়ে দেড় বছর যাবৎ বহাল রয়েছেন। বিষয়টি জানার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউস কমিশনার অফিসে গিয়েও তিনি মিটিং-এ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।