এভিয়েশন নিউজ: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত রবিবার বিমানবন্দরে থাকা ভ্রাম্যমাণ আদালত ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ জরিমানা আদায় করেন।
জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সপরিবারে দেশে আসেন সৌদি প্রবাসী মো. শাহজাহান। ওই সময় তাঁর সঙ্গে আটটি লাগেজ ছিল। শাহজালালে তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনটি লাগেজের হদিস পাননি তিনি। পরে বিমান কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়ে দেয়, লাগেজগুলো এলে জানানো হবে।
হয়রানির শিকার মো. শাহজাহান বলেন, ‘গত ২১ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড থেকে ফোন করে বলা হয়, আপনাদের লাগেজ এসেছে। তাঁদের কথানুযায়ী আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিমানবন্দরে চলে আসি। কিন্তু আসার পর তিনটি লাগেজের মধ্যে দুটি লাগেজ দিয়ে অবশিষ্ট লাগেজটি আসেনি বলে জানায় তারা। একপর্যায়ে বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়।
পরে বাধ্য হয়ে বিমানবন্দরে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফকে অবহিত করি। নিয়ম অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ করার পর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি আদায়কৃত জরিমানার অর্থের ২৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্তকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউছুফের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লাগেজ হয়রানি শাহজালালে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেকোনো ফ্লাইটে লাগেজ লেফট বিহাইন্ড হতেই পারে। তবে এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের কাছে প্রত্যেকটি ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার ও লেফট বিহাইন্ড লাগেজের লিস্ট থাকে। নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা বেল্টে লাগেজ দেওয়া শুরু হলে লেফট বিহাইন্ড লাগেজধারী প্যাসেঞ্জারদের ইনফর্ম করে দেওয়ার কথা।
সৌদি প্রবাসী শাহজাহানকে এ ধরনের তথ্য না দেওয়ায় তাঁকে বেল্টের শেষ লাগেজটি নামানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। যা বিমান কর্তৃপক্ষ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৫ ধারায় অপরাধ করেছে। তিনি বলেন, বিমান কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক জরিমানা দিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।