এভিয়েশন নিউজ: ভেঙে দেয়া হয়েছে বিমান বোর্ড। মঙ্গলবার বিকালে বিমানের বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ পর্ষদ ভেঙে দেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নতুন পর্ষদ গঠনের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরীর মাধ্যমে ওই প্রস্তাবনা পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বিমানের নতুন পরিচালনা পর্ষদের নাম ঘোষণা করতে পারেন।
পুরনো পর্ষদ ভেঙে দেয়া প্রসঙ্গে বিমানের পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন জানান, তিনি এখন বিমানের কেউ নন। তিনি বলেন, নতুন পর্ষদ গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তিনিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
গত বছরও একই কায়দায় বিমান বোর্ড ভেঙে দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বোর্ড গঠন করেন। এখন পর্যন্ত নতুন পর্ষদে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা সেটা জানা যায়নি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এবারও নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিমান বাহিনীর সাবেক চিফ ও বিমানের সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু ৩ জন সদস্যের পদে পরিবর্তন আসতে পারে।
এদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন ও এসএমএ জাকারিয়া ভুইয়া। এই তিনটি পদে বিমান বিশেষজ্ঞ হিসেবে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। পরিবর্তনের কারণ হিসেবে জানা গেছে, দুজন বোর্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে বিমানে ঘুষ-বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ গেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
সোনা চোরাচালান মামলার এক আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে একজন বোর্ড মেম্বারকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ এসেছে। এছাড়া বিমানের বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমার নামে ওই বোর্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা অনিয়ম করার অভিযোগ আছে। অপর একজন বোর্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে বিমানে লোক নিয়োগ, জিএসএ নিয়োগ, উড়োজাহাজ লিজ, টিকিট বেচাকেনায় কমিশন বাণিজ্য ও বিভিন্ন কেনাকাটা, বদলি, প্রমোশন নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
এছাড়া শত শত কোটি টাকার অডিট আপত্তি জমা থাকারও অভিযোগ আছে। অপরদিকে এয়ারলাইন্স বিশেষজ্ঞ না হওয়ায় এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকায় একজন বোর্ড মেম্বারকে এ বছর না রাখার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।