বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

2016_05_20_11_04_00_cZr1x2bNnfS9MHZsF81j7TvA4LnQbB_originalবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল থেকে কিছুটা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে এসে ক্রমেই বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা কেন্দ্রের বিশেষ বুলেটিনে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হাসানুর রশিদ বাংলামেইলকে বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর ও মংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বলেন, ‘বন্দরের জরুরী সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থানরত সকল লাইটারেজ জাহাজকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দরে অবস্থানরত সকল পণ্যবাহী জাহাজকে ২ ঘণ্টার নোটিশে বঙ্গোপসাগরের বর্হিনোঙ্গরে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে। বন্দরে সকল ধরনের পণ্য উঠানামা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া বন্দরের সকল ধরনের যন্ত্রপাতি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ চট্টগ্রাম-নোয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত চট্টগ্রামের সকল সরকারি ও আধাসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সবরকমের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পর্যায়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি সকল উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। জেলা কন্ট্রোলরুমের নম্বর হচ্ছে ৬১১৫৪৫।

এদিকে জেলার উপকূলবর্তী উপজেলা সমূহে জেলা প্রশাসন ও নগরীর উপকূলবর্তী ওয়ার্ড সমূহে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্লিষ্ট সূত্র।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.