এভিয়েশন নিউজ: বাংলাদেশ বিমানের এক কেবিন ক্রু‘র ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বিমানের ক্রুদের থাকার জন্য ভাড়া করা লন্ডনস্থ হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকায় ইতোমধ্যে অভিযোগটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে ভিকটিম কেবিন ক্রু বিমানের প্রশাসন শাখায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার ১৭দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি অভিযুক্ত চীফ পার্সার মোঃ নুরুজ্জামান রনজু ও স্টুয়ার্ড অপুক মুমের সিনহার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা এমনকি শোকজ পর্যন্ত করা হয়নি। তাদের ফ্লাইটও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত দুই পুরুষ কেবিন ক্রু বিমনের কেবিন ক্রু এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য হওয়ায় পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে বিমানের দু‘জন প্রভাবশালী পরিচালকের সঙ্গে মোটা অংকের টাকার আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নারী কেবিন ক্রু জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা নির্বিঘ্নে ফ্লাইট করায় মহিলা কেবিন ক্রুরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ইতোমধ্যে ভিটটিম কেবিন ক্রুকে তার অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকী দেয়া হচ্ছে। অন্যথা তাকে বিমানের সব ধরনের ফ্লাইট থেকে সরিয়ে দেয়া, চাকরীচ্যুত এমনকি প্রাননাশের হুমকীও দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় পুরো বিমান জুড়ে আতঙ্গ নেমে এসেছে। পরিচালক প্রশাসন শাখার একজন কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কাজ চলছে। লন্ডনস্থ হোটেলের ওই কক্ষের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহের জন্য হোটেল কতৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হবে। হোটেল ফুটেজ থেকে ওই মহিলা কেবিন ক্রুর কক্ষে সেদিন কারা ঢুকেছিল তা বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধাস্ত নেয়া হচ্ছে।
তবে অভিযোগ উঠেছে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরিচলক ফ্লাইট অপারেশন (ডিএফও) ও সিডিউলিং বিভাগ নানা চেষ্টা তদবির করে যাচ্ছেন। জানাগেছে মহিলা কেবিন ক্রুদের পক্ষ থেকে ডিএফও ক্যাপ্টেন তোফায়েলকে বিষয়টি জানালেও তিনি কোন কর্নপাত করেননি। বর্তমানে বিমানের কেবিন ক্রু বিভাগ পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনের আওতাধীন। সিডিউলিং বিভাগকে অভিযুক্ত চীফ পার্সার ও স্টুয়ার্ডকে ফ্লাইট না দেয়ার জন্য বলা হলেও জানা গেছে তাদেরকে নিয়মিত ফ্লাইট দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিমানের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাইল হেউডকে তার অফিসিয়াল মেইলে জানতে চাইলে ও তিনি কোন উত্তর দেননি। অভিযুক্ত চিফ পার্সার নুরুজ্জামান রনজুর সঙ্গে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। কেবিন ক্রু এসোসিয়েশনন সুত্রে জানা গেছে বর্তমানে তিনি ফ্লাইট নিয়ে দেশের বাইরে আছেন।