এইচএম দেলোয়ার, এভিয়েশন নিউজ: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার ২৪০ পিচ সোনা লাপাত্তা হেয়ে গেছে। গত রাতে বিমানবন্দরে এ পাচার ঘটনা ঘটে। এর সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দ বিভাগ। পাচার কাজে ব্যবহার করা প্রাইভেট কারটিও উদ্বার করেছে গোয়েন্দারা।
উদ্বারকৃত সোনার গডফাদার উত্তরার বিএনএস সেন্টারের অবস্থিত উডেন ফানিচারের মালিক জাফর এবং নাইম নামে দুজন ব্যবসায়ী। এর সাথে বিমানবন্দরের রানওয়েতে সিএএবির নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মুন কন্স্ট্রাকশন জড়িত রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানান। মুন কন্সট্রাকশনের কর্মচারি সাইদ বিমানের ক্লিনার মুরাদ এবং প্রাইভেট কারের চালক রিয়াজ এই তিনজন মিলে ঢাকা মেট্রো- গ-৩৫-৯০০৭ প্রাইভেট কারের ভিতরে সোনার বারগুলো ক্যারিং করছিল বলে গোয়েন্দার সুত্র জানায়।
গ্রেফতারকৃত এই তিনজনের স্বীকারোক্তির বরাদ দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা টিমের সদস্য কবীর হোসেন শিকদার যিনি অভিযানে অংশ নেন এ কথা জানান। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান, সিএএবির নিরাপত্তা পাস ( ডি ) পাস ছাড়া পাচারকারি তিনজন বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করে অবস্থান করছিল।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাফর কাঠের ব্যবসার অন্তরালে বিমানবন্দর দিয়ে সোনা পাচরের সাথে জড়িত রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে ।লাপাত্তা হওয়া সোনার বার গুলো কতার এয়ার লাইন্সের কিউআর- ৬৩২ ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিয়ে আসা হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দা সুত্র জানায়।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শুল্ক গোয়েন্দা ডিজির নির্দেশ অনুযায়ী বিশেষ টিমের সদস্য ডিডি মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা টিম গত শুক্রবার ( ১৬-০১-২০১৫ ) বিকাল থেকে বিমানবন্দরের রানওয়েতে ওৎ পেতে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা টিম অভিযান চালিয়ে পদ্মা ওয়েল হয়ে প্রাইভেট কারটি ফ্লাইং ক্লাবের মাঝামাঝি স্থানে পৌছলে গোয়েন্দারা প্রাইভেট কারটি আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রাইভেট কারে থাকা গাড়ির চালক রিয়াজ, বিমানের ক্লিনার মুরাদ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুন কন্সট্রাকশনের কর্মচারি সাইদকে গ্রেফতার করে। গোয়েন্দারা পাচার কাজে ব্যবহার করা ঢাকা মেট্রে-গ-৩৫-৯০০৭ গাড়িটিও আটক করে। প্রাইভেট কারের কাগজপত্র গ্রেফতারকৃত চালক রিয়াজের নামে।
সুত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের তথ্য- এর বরাদ দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্য কবীর হোসেন শিকদার জানান , পাচার হয়ে যাওয়া সোনার ক্যারিয়ার মুন কন্সট্রাকশনের কর্মচারি সাইদ , গাড়ির চালক রিয়াজ এবং বিমানের ক্লিনার মুরাদ। পাচারকৃত সোনার গডফাদার মুন কন্সট্রাকশনের মালিক, উত্তরার ৭ নং সেক্টরের বিএনএস সেন্টারে অবস্থিত উডেন ফার্নিচারের মালিক জাফর এবং নাইম নামের এক ব্যবসায়ি। তিনি জানান, পাচার করা সোনা উদ্বার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সোনার গডফাদার নাইম ক্ষমতাসীন দলের একটি অঙগ সঙগঠনের থানা পর্যায়ের নেতা । প্রধানমন্ত্ররি হজ্ব ক্যাম্পের এক অনুষ্ঠানে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের দায়ে বিমানবন্দর থানার ওসি তাকে গ্রেফতার করেছিল। পরে উচ্চ পর্যায়ের তদবিরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। আর জাফর বিমানবন্দর ট্রানজিট গোডাউন কেন্দ্রিক সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সোনাসহ মূল্যবান পন্য পাচারে জড়িত বলে গোয়েন্দারা তা খতিযে দেখছে।